‘বাংলাদেশ তরিকত পার্টি’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

5 hours ago 2

‘বাংলাদেশ তরিকত পার্টি (বিটিপি)’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়।

দলটির সভাপতি হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান আলী চিশতি এবং মহাসচিব হয়েছেন সৈয়দ মো. মাসুদ রানা।

আত্মপ্রকাশের পর দলের ৩৭টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমন্ধে বলেন নেতারা। সেগুলো হলো, পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা; স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা; মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুন্ন রাখা এবং জুলাই ২৪ এর আন্দোলনের আদর্শ রক্ষা করা; আদর্শবাদের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করা।

এছাড়া, সমাজ তথা দেশের সর্বস্তরের সব প্রকার অনিয়ম চিরতরে দূরীকরণ করা; ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা ও ধর্মীয় স্বাধীকার ও ধর্ম নিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করা; ইসলাম ধর্মসহ দেশের প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; বেকার সমস্যা দূরীকরণ করা ও নারী-পুরুষের কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা; গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন বৃদ্ধি করা; কৃষিখাতে উন্নত প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো ও কৃষকের ন্যায্য অধিকার ও কৃষি পণ্যের সঠিক বাজার মূল্য নিশ্চিত করা সহ কৃষিখাদে সর্বোচ্চ ভর্তুকি প্রদান করা; দেশের প্রতিটি পবিত্র মাজার শরিফ, মসজিদ ও মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা; সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; প্রত্যেক ধর্মের ধর্মীয় অনুশাসন ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠা করা; প্রত্যেক ধর্মীয় মতাবলম্বী সম্প্রদায় নিজ নিজ মতের অনুশাসনের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করা; প্রতিরক্ষা ও সামরিক ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির পথ প্রসার করা হবে ও প্রত্যেক প্রশাসনকে দ্বায়িত্বশীল করে গড়ে তোলা হবে;নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও মেধাবিকাশে সর্বোচ্চ সুযোগ প্রদান করা হবে;মেধা অনুসারে কর্ম সংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে; পরিবহন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সড়ক মহাসড়কসহ সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে; পরিবহন ক্ষেত্রে যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধে উন্নত প্রযুক্তি ও টহল ব্যবস্থা জোড়দার করা হবে;স্বাধীন ও মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে;. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে; সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি রেজিষ্ট্রেশনের আওতাভুক্ত করা হবে।

এবং সু-শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করা হবে; চুরি-ডাকাতি, খুন-খারাপি ও দখলদার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে শতভাগ সজাগ রাখা হবে; দেশের সকল অসহায়, দুস্থ, গৃহহীন ছিন্নমূল জনগোষ্ঠিকে পূণর্বাসন করা হবে; বৃদ্ধ পিতামাতা ও স্বজনের দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে সন্তানের গ্রহন করা নিশ্চিত করা হবে; শিক্ষা সংস্কৃতি, খেলাধূলা, শরীর চর্চা, সংগীত চর্চাসহ সব গ্রামীণ ও দেশীয় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে চর্চার সুযোগ প্রদান করা; প্রত্যেক ব্যক্তি বা গোষ্ঠি: ব্যাক্তি স্বাধীনতার ভিত্তিতে নিরাপদ জীবন যাপন নিশ্চিত করা হবে; খাদ্য দ্রব্য, ফলমূল, সকল দেশীয় সবজি, অর্থকরী ফসল, মৎস খামার, পোল্ট্রি খামার, হ্যাচারীসহ সকল উৎপাদনমূখী প্রতিষ্ঠানে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে; দেশের সকল প্রকার এনজিও প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রনের জন্য একটি সরকারি নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে; মানব সম্পদ উন্নয়ন ও বিদেশের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য স্বাধীন শ্রমবোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে; দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন ও জনগণের গচ্ছিত সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে; বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত করা হবে; বাংলাদেশকে জনগণের কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে; প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং স্বাধীকার বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

এমএইচএ/এসএনআর/এমএস

Read Entire Article