বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও এডুকেশন মালয়েশিয়ার মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক বিনিময় ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রী ওয়াইবি দাতো সেরি ও ড. জামব্রি আব্দ কাদিরের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমঝোতা স্মারক বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ইডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিস-ইএমজিএস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইভ তাজউদ্দীন এবং ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সমঝোতা স্মারকটি মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বাংলাদেশি ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকদের অধ্যয়ন, গবেষণা, পড়াশুনা এবং পাঠদানের অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং মালয়শিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বক্তব্য দেন।
এ সময় ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এ সমঝোতা স্বাক্ষর বৃহত্তর সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে ইএমজিএসর আন্তরিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বন্ধুত্বপূর্ণ দু’দেশকে এই সহযোগিতাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান এবং এটি বাস্তবায়নে মিশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি সমঝোতা স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য আরো সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ড. ফখরুল ইসলাম, সচিব, ইউজিসি ও মিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাত হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যয়ন করছে।
মালয়েশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাদের ইসলামী মূল্যবোধকে সমন্বয় করে একটি নতুন ধরনের উচ্চশিক্ষার মডেল তৈরি করেছে। এই মডেল বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার রূপরেখা তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় জুলাই আন্দোলনের মূল ভিত্তি ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’ সংযুক্ত করে উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে গবেষণার সহযোগীসহ উচ্চশিক্ষার পারস্পরিক সহযোগিতার রূপরেখার তৈরি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।