দেখে মনে হচ্ছিল, পায়ে বেশ ভালো টান পড়েছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দুজনের কাঁধে হাত রেখে মাঠ ছাড়েন গুলবাদিন নাইব। সেই গুলবাদিনকেই এরপর দেখা গেলো বল করতে। আফগানিস্তানের জয়ের পর তো মাঠ জুড়ে ছোটাছুটিই করলেন!
অনেকেরই সন্দেহ, চোটের অভিনয় করেছিলেন গুলবাদিন। কারণ ম্যাচে তখন টানটান উত্তেজনা। দুই এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছিল, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ঠিক ওই সময়টায় আফগানিস্তান ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে এগিয়ে ছিল ২ রানে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখায় ডাগআউট থেকে আফগানিস্তানের হেড কোচ জোনাথন ট্রটও সংকেত দিচ্ছিলেন, সময় নিতে। এরপরই স্লিপে থাকা গুলবাদিন নাইব হঠাৎ মাঠের মধ্যে পড়ে যান, পায়ে ধরে দেখাতে থাকেন হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়েছে।
যদিও গুলবাদিনের ওই চোট বা মাঠে সময়ক্ষেপনে ম্যাচের ফলে প্রভাব পড়েনি। পরে বৃষ্টি বন্ধ হলে খেলা শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে হেরেছে ৮ রানে।
তবে ওই সময় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার পর আর শুরু না হলে আফগানিস্তান ২ রানে জিতে যেতো। সেটা ভেবেই সম্ভবত চোটের অভিনয় করেন আফগান অলরাউন্ডার।
তার এই কাণ্ড দেখে সমালোচনা করেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ক্রিকেটার, সমর্থকরা। ম্যাচ চলাকালেই কিউই ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল বলে ওঠেন, ‘কোচ কী ইঙ্গিত দিয়েছে, সেটা সবাই বুঝতে পেরেছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করাটা ঠিক নয়, অগ্রহণযোগ্য।’ আরেক ম্যাচ বিশ্লেষক পমি মবঙ্গোয়া মন্তব্য করেন, ‘অস্কার নাকি এমি?’
ভারতীয় তারকা অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘গুলবাদিন নাইবকে লাল কার্ড দেখানো উচিত।’ ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন প্রশ্ন তোলেন ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে।
এরই মধ্যে নিজের চোটকে স্বাভাবিক বোঝাতেই যেন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন গুলবাদিন। ফিজিওর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘বিস্ময়কর কিছু হতে পারে প্রশান্ত পঞ্চদা, আমার ফিজিও।’
গুলবাদিন বোঝাতে চাইছেন, তার ফিজিও এতটাই সক্রিয় ছিলেন যে চোট সেরে উঠতে সময় লাগেনি। যদিও অনেকেই তার এমন মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্বাস করছেন না।
এমএমআর/এএসএম