বাংলাদেশ সিরিজের আগে আফ্রিদিকে শাস্তি দিতে রাজি নয় পাকিস্তান

1 month ago 24

সামনে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজের আগে দলের সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে রাজি নয় পাকিস্তান ম্যানেজম্যান্ট।

গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরমেন্স করে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষেও হেরে বসে তারা। ফলে আগেভাগেই বিদায় নেয় বিশ্বকাপ থেকে।

এরপরই দলের মধ্যে ক্রিকেটারদের ব্যাপক মনোমালিন্য এবং শৃঙ্খলার অভাবের খবর প্রকাশ্যে আসে। কোচ গ্যারি কার্স্টেন সরাসরি শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। জানা যায়, শাহিন আফ্রিদি দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। সেই জন্য পিসিবির শাস্তির মুখে পড়ার সম্ভাবনাও ছিল।

ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে সাবেক ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের সময় এক সমর্থকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন আরেক পেসার হারিস রাউফ। এই সব বন্ধ করতেই পিসিবি চেয়েছিল শাহিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বাকিদের বার্তা দিতে। যদিও বাংলাদেশ সফরের আগে তার বিরুদ্ধে শাস্তির পক্ষপাতী নন গ্যারি কার্স্টেন এবং পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেস্পি।

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সিরিজে শাহিনকে দলের বাইরে রাখা নিয়ে জেসন গিলেস্পি, মোহাম্মদ ইউসুফ, গ্যারি কার্স্টেন এবং নির্বাচক আসাদ শফিকের সঙ্গে কথা বলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।

সেখানেই পাকিস্তানের দুই হেড কোচ জানিয়েছেন, দলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এখন তাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকানো উচিত। ওয়ার্কলোডের কারণে বা খারাপ পারফরমেন্সের জন্য ক্রিকেটারদের বাদ দিতে রাজি তারা। তবে এখনই অতীতের ঘটনা টেনে এনে শাহিনকে বাদ দেওয়ার পক্ষপাতী নন।

সোমবার পাকিস্তানে পা রাখছেন টেস্ট দলের কোচ গিলেসপি। কয়েকদিনের জন্য সেখানে একটি ক্যাম্প করবেন তিনি। এরপর পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই পাকিস্তান খেলতে নামবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। পিসিবিকে দুই কোচই জানিয়েছেন, শাহিন আফ্রিদির বিতর্ক এতটাও গুরুতর নয়, যেটা কথা বলে দলের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া যাবে না। আর দল গোছানোর স্বার্থে তাদেরও সময় দেওয়া উচিত। তাই আপাতত শৃঙ্খলাভঙ্গ ইস্যুতে বড় অক্সিজেন পেলেন শাহিন আফ্রিদি।

এমএমআর/আইএইচএস/

Read Entire Article