বাংলাদেশের চেয়ে গুজরাট-মিয়ানমারের ইলিশ বেশি কিনছে পশ্চিমবঙ্গবাসী

2 hours ago 1

প্রতিবছর দুর্গপূজার আগে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে পদ্মার ইলিশ। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। তবে এবার বাংলাদেশের ইলিশ ঘিরে তেমন উচ্ছ্বাস চোখ পড়ছে না।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশি ইলিশের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতারা গুজরাট ও মিয়ানমারের ইলিশ কিনছে বেশি। মূলত বাংলাদেশের ইলিশের চড়া দামের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১ কেজির বেশি ওজনের বাংলাদেশের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২৫০০ রুপিতে। অন্যদিকে, প্রায় অর্ধেকেরও কম দামে মিলছে গুজরাট ও মিয়ানমারের ইলিশ। এক কেজির বেশি ওজনের গুজরাট ও মিয়ানমারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১১০০ রুপিতে। আর এ কারণেই পূজার আগে বাংলাদেশের ইলিশ কম কিনছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা।

এদিকে, এবার দাম বেশি থাকায় পাইকারি মাছের বাজার থেকে মাছ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে খুচরো ব্যবসায়ীদেরও। আবার তারাও এই মাছ সাধারণ মানুষের কাছে আগের মতো বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে আমদানিকারকরা পড়েছেন দ্বিধায় যে, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আনবেন, নাকি আপাতত বিরতি দেবেন।

পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, এবার দাম খুব চড়া হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা বাংলাদেশের ইলিশ আগের মতো নিচ্ছেন না। ১৫ থেকে ২৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ নিলে, গুজরাট কিংবা মিয়ানমারের ইলিশ নিচ্ছেন ৭০ থেকে ৮০ কেজি।

বাংলাদেশের ইলিশের দামে চেয়ে গুজরাটের ও মিয়ানমারের ইলিশের দাম অনেক কম। কিন্তু বাংলাদেশের ইলিশের সঙ্গে স্বাদের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের ইলিশের তুলনা হয় না।

আগরপাড়া খুচরো মাছ বাজারের বিক্রেতা রামপ্রসাদ পাল বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ মাছের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশি বিক্রি হচ্ছে গুজরাট ও মিয়ানমারের ইলিশ। বাংলাদেশের ইলিশের জোগান বাড়লে হয়তো দাম কমবে ও দাম কমলেই বাঙালি ফের বাংলাদেশের ইলিশ কিনবে।

গড়িয়াহাটের মাছ ব্যবসায়ী রমেশ দাস বলেন, আমি খুব কম পরিমাণে ইলিশ কিনেছি। আমার মনে হয়, বাংলাদেশি ইলিশের দাম বেশ চড়া, তাই গুজরাট, মিয়ানমার ও উড়িষ্যার ইলিশ মানুষ বেশি কিনছে।

ডিডি/এসএএইচ

Read Entire Article