বাংলাদেশের সাথে ঠিকই হাত মেলাল ভারত

2 hours ago 3

দুবাইয়ের গরমে মাঠের লড়াইয়ের আগে জমে উঠেছে হাত মেলানো নিয়েও আলোচনা। এশিয়া কাপ সুপার ফোরের ম্যাচে টসের সময় ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এগিয়ে এলেন বাংলাদেশের নবীন অধিনায়ক জাকের আলীর দিকে। দু’জনের হাসিমুখে হ্যান্ডশেক যেন অনেক বিতর্ককে ছাপিয়ে গেল।

কিন্তু এখানেই ধরা দিল অন্যরকম বার্তা। কারণ পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগার সঙ্গে টানা দু’বার হাত মেলাতে অস্বীকার করেছিলেন সূর্যকুমার। প্রথমে গ্রুপ পর্বে, তারপর সুপার ফোরেও সেই একই দৃশ্য। অথচ ওমান কিংবা বাংলাদেশ—সব দলের অধিনায়কের সঙ্গে আগ্রহ নিয়ে হাত মিলিয়েছেন তিনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানকে ঘিরে কি তবে এক প্রকার ‘অঘোষিত বর্জননীতি’ অনুসরণ করছে ভারত?

টসের আগে এই দৃশ্য যখন আলোচনায়, তখন মাঠে অবশ্য ফোকাস ছিল বাংলাদেশ দলের সিদ্ধান্তে। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার ঘোষণা দেন জাকের। অন্যদিকে ভারতীয় ডাগআউটে গুঞ্জন ছিল মুস্তাফিজুর রহমানকে ঘিরে। ম্যাচ শুরুর আগে ভারতীয় দলের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডুশাটে খোলাখুলি প্রশংসা করেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসারের— ‘মোস্তাফিজ সত্যিই একজন চ্যাম্পিয়ন। অনেকদিন ধরেই খেলছে, দারুণ দক্ষ একজন বোলার। আমরা জানি, ওর কী ধরনের স্কিল আছে। আমাদের কাছে ও-ই বাংলাদেশের সেরা বোলার।’

এদিন মোস্তাফিজ এই ম্যাচে ছিলেন এক ঐতিহাসিক মাইলফলকের দুয়ারে—আর মাত্র একটি উইকেট পেলেই নাম উঠবে টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের ১৫০ উইকেট ক্লাবে। বিশ্বে মাত্র চারজন বোলারই এখন পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন সেই উচ্চতায়। সেই মাইলফলক সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে পূরণ করেন কাটার মাস্টার।

মাঠের খেলা যতটা না, টসের আগের সেই হ্যান্ডশেক নিয়েই বরং বেশি সরগরম সামাজিকমাধ্যম। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ মনে করছেন—“ক্রীড়াসুলভ মনোভাবেই পাকিস্তানকেও হ্যান্ডশেক করা উচিত ছিল।” অন্যদিকে অনেকে বলছেন—“যা করেছেন, ঠিক করেছেন।”

শেষ পর্যন্ত মাঠের পারফরম্যান্সই বলে দেবে কে এগিয়ে, তবে মাঠের বাইরের সেই ছোট্ট দৃশ্যটা যে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে—তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Read Entire Article