বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আয়ুর্বেদ-হোমিও চিকিৎসা ভূমিকা রাখছে

1 hour ago 4

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যনীতিতে আয়ুর্বেদ কেবল প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র হিসেবে নয়, বরং ইউনানি ও হোমিওপ্যাথির সঙ্গে মিলিয়ে আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অবস্থান করছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সংস্থা এই ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সমর্থন করছে এবং জনস্বাস্থ্যে এর প্রভাব বাড়াতে গবেষণা, শিক্ষা ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি) আয়োজিত দশম জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবসের অনুষ্ঠানে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের পাশাপাশি যোগ প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। এ বছরের থিম ছিল ‘মানুষের জন্য আয়ুর্বেদ, পৃথিবীর জন্য আয়ুর্বেদ’, যা ব্যক্তিগত সুস্থতা ও পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপর আয়ুর্বেদের অবদানকে তুলে ধরে।

ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক অ্যান মেরি জর্জ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতির মতো প্রাচীন বন্ধন বহন করে। আয়ুর্বেদ শতাব্দী ধরে বাংলাদেশে প্রচলিত এবং জনগণের স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, উভয় দেশে প্রচলিত ঔষধি উদ্ভিদ এবং গবেষণার ক্ষেত্র বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করছে। এছাড়া বহু বাংলাদেশি ছাত্র ভারত থেকে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা শিখতে আসে, যা দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও শক্তিশালী করছে।

ঢাকা সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. সারিক হাসান খান আয়ুর্বেদ ও ইউনানি পদ্ধতির প্রিভেন্টিভ হেলথকেয়ারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ‘আয়ুর্বেদের যাত্রা’ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

উদযাপনে আয়ুর্বেদকে সুস্থ ভারত যোজনার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্প্রসারণ, রোগ নিরীক্ষণ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, বায়োমেডিকেল গবেষণা সমর্থন এবং মানব, প্রাণী ও পরিবেশের সুস্থতাকে সংযুক্ত ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণা প্রচার করা হচ্ছে।

জেপিআই/এনএইচআর

Read Entire Article