নতুন বাইক কেনার পরই খেয়াল করবেন অনেকেই বাইক সার্ভিসিং করান। এর পেছনে অবশ্য কারণ রয়েছে। নতুন বাইক চালানোর মজাই আলাদা। ব্রেক, গিয়ার, ইঞ্জিন সব একেবারে যথাযথ। অনেকেই হাই স্পিড তুলে দেন। এতে যেমন দুর্ঘটনার ভয় থাকে, তেমনই বাইকেরও ক্ষতি হতে পারে। এমনটাই বলছেন টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা।
প্রথম সার্ভিসিং করানোর আগে পর্যন্ত ‘ইকোনমি স্পিডে’ বাইক চালাতে বলা হয়। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার মধ্যে। এতে জ্বালানি খরচ কম হয়। বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়। এর পেছনে রয়েছে কিছু প্রযুক্তিগত কারণ। কী কারণে গতি সীমিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় দেখে নেওয়া যাক।
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বাইকের ইঞ্জিন, পিস্টন, গিয়ার, সিলিন্ডার অন্যান্য অংশের সঙ্গে সঠিকভাবে সামঞ্জস্য থাকে না। ঘর্ষণ চলতে থাকে। শুরুর ১০০০ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ঘর্ষণ কমাতে বাইক ব্রেক ইন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়।
এই সময়ে বেশি গতি বা রিভলিউশন-এ চালালে এই অংশগুলো সঠিকভাবে ফিট হতে পারে না। যার ফলে ইঞ্জিন দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নতুন বাইকে ইঞ্জিন অয়েল নতুন ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ঘর্ষণ কমানোর কাজ করে। ফলে ময়লা জমে। তাই স্পিড বেশি থাকলে ইঞ্জিনে চাপ পড়তে পারে। ইঞ্জিন অয়েল ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। প্রথম সার্ভিসিংয়ের পর এই তেল বদলে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি নতুন বাইকে পিস্টনের মধ্যে ফাঁক কম থাকে। বাইক চালানোর সময় ঘর্ষণের কারণে এগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। তাই বেশি স্পিডে বাইক চালালে পিস্টন মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে।
একইসঙ্গে বেশি স্পিডে চালালে নতুন বাইকের ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। কারণ সেটা তখনো পুরোপুরি সেট হয়নি। ইঞ্জিনের কুলিং সিস্টেম এবং অন্যান্য অংশের ক্ষতি হতে পারে। গিয়ার বক্স এবং ক্লাচ প্লেটও নতুন থাকে। এগুলো সঠিকভাবে ফিট হওয়ার জন্য সাধারণ গতি এবং লোড প্রয়োজন। বেশি গতিতে চালালে এগুলোর আয়ু কমে যেতে পারে। তাই নতুন বাইক প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
- আরও পড়ুন
- এক চার্জে ১৫০ কিলোমিটার চলবে রয়্যাল এনফিল্ডের ই-বাইক
- জনপ্রিয় বাইক তৈরি বন্ধ করছে রয়্যাল এনফিল্ড
কেএসকে/জিকেএস