বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল শুরু

4 hours ago 3

বাগেরহাটের চারটি আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ রেখে, বাস বেঁধে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করছেন হরতালের সমর্থনকারীরা।

হরতাল আহ্বানকারী সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির দাবি, জেলার বিভিন্ন সড়কের অন্তত ১৫০টি স্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। যার ফলে বাগেরহাট জেলা কার্যত অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এমনকি আন্তঃজেলা যোগাযোগব্যবস্থাও এককথায় অচল হয়ে পড়েছে।

এদিকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দড়াটানা সেতুর দুইপাশ, ফতেপুর বাজার, সিএনবি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পন্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল শুরু

অন্যদিকে হরতালের সমর্থন করে বাগেরহাট জেলাজুড়ে দোকানপাট বন্ধ থাকায় দোকানদারেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এদিকে রাতেও সড়কে আগুন জালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে হরতালের সমর্থনকারীরা। যার ফলে রাতেও কোনোপ্রকার গাড়ি চলাচল করেনি সড়ক থেকে। রাতে সড়ক বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসনবিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সীমানার গেজেট অনুযায়ী বর্তমান আসনের সীমানা: বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। পূর্বের আসন সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

নাহিদ ফরাজী/এমএন/এএসএম

Read Entire Article