বাজেটে সংস্কারের প্রত্যাশা করেছিলাম, গাইডলাইন পাইনি: আইবিএফবি

3 months ago 27

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সভাপতি হুমায়ূন রশিদ বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাজেটে অনেক বেশি সংস্কারের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু সংস্কারের গাইডলাইন পাইনি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) তেজগাঁওয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে ‘বাজেট ২০২৪-২৫ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দরকার সুশাসন ও যথাযথ মনিটরিং। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে হবে ।

মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। এ মূল্যস্ফীতির হারকে কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতেই হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি বাড়বে ।

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী বিরাজমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে চাপের মুখে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ‘কর’ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা যেভাবে বাড়ানো হয়েছে সে তুলনায় ‘অন্যান্য খাত’ (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর এবং কর বহির্ভূত আয়) বরং কমানো হয়েছে। সরকারি সংস্থা ও করপোরেশন থেকে প্রাপ্য এ দুই খাতে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা না কমিয়ে বরং বাড়ানো হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর উপর লক্ষ্যমাত্রার চাপ আরওে কমানো যেত।

সভায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ নতুন করদাতাদের অনুৎসাহিত করবে।

এসএম/এমএইচআর/জেআইএম

Read Entire Article