বাবা-মেয়ের আবেগঘন মুহূর্ত ভাইরাল, ভাসছে প্রশংসায়

3 weeks ago 16

সম্প্রতি বাবা-মেয়ের আবেগঘন একটি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দেখে অনেকেই চোখের জল ফেলেছেন। করছেন বাবা-মেয়ের প্রশংসা। ছোট্ট একটি ঘরোয়া ভিডিও এত দ্রুত যে ছড়িয়ে পড়বে তা হয়তো ভাবেননি তারা। নওগাঁর মেয়ে লামিয়া জান্নাত ২৫ আগস্ট ভিডিওটি সম্পর্কে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন। জানিয়েছেন নিজের অনুভূতি।

লামিয়া জান্নাত লিখেছেন, ‘কয়দিন থেকেই বাসার সবাই নওগাঁ আসতে বলতেছিল। ভাবছিলাম ইফফির বিয়েটা খেয়ে এসে ঘুরে যাবো। এরপর আবার কনফিউজড, আসবো কি না! ২৩ তারিখ রাতে হুট করে ডিসিশন নিলাম পরের দিন আসবো। একটু পর ঠিক হলো পরের দিন যেহেতু বেশি তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে, তাইলে পরের দিন আসবো। কিন্তু আম্মু-বাবাকে জানাবো না।’

পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘দুতিকে জানালাম। বাসে আম্মু একবার ফোন দিছে। আমি কেটে দিয়েছিলাম। এরপর বিকেলে আবার ফোন দিচ্ছিলো আর ওই মুহূর্তে আমি ঘরে ঢুকছি। আম্মু একদম বাচ্চাদের মতো ছলছল করে উঠছে। এরপর বাবাও আসলো দোকান থেকে। দেখে এমন সারপ্রাইজড যে, কিছুক্ষণ প্রসেসই করতে পারতেছিল না। তার খুশি দেখে মনে হচ্ছিল আসা সার্থক। এটা হলো বাবার রিয়েকশন। আর ভিডিওর লাস্টে বলা কথাটা হলো বাস্তবতা।’

ভাইরাল লামিয়া জান্নাতের বোন মালিহা জান্নাত দুতি ‘মালিহা’স প্যাশন’ পেজে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি আমার মেজো বোনের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই বাসায় আসার খুশিতে ভিডিওটা হুট করেই করেছিলাম আমি। নরমালি এমন অনেক মুহূর্তই ঘটে যায়, আমরা রেকর্ডও করে রাখি অনেকটা কিন্তু সব কিছু তো আর পোস্ট করা হয় না।’

দুতি লিখেছেন, ‘অনেকেই মেসেজ দিচ্ছেন, আপু আপনাদের আরও ছবি-ভিডিও পোস্ট করেন। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যায়, আমার বোন হঠাৎ অনেকদিন পর বাবাকে চমকে দেয়। নতুন বিয়ে হয়েছে তার ৬ মাস হচ্ছে। এর মধ্যে দুই ঈদে সে বাড়ি এসেছিল। এ ছাড়া তেমন আসা হয়নি। তাই এবার হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি ঢাকা থেকে এসে সে বাবাকে সারপ্রাইজড করে। বাবার চোখের আনন্দ, আবেগ, ভালোবাসা—সেই মুহূর্তটুকু দেখে মন ভরে যায়। বাবা শুধু হাসেন না, আবেগে কেঁদে ফেলেনও। তিনি ভিডিওতে বলতে থাকেন, ‘মেয়েদের বিয়ে দিলে আর পাওয়া যায় না’।’

অনুভূতি জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই ভিডিও দেখে শুধু অন্যরা নয়, আমিও কেঁদে ফেলেছি। আর কতবার যে দেখতেছি হিসেব নাই। দেখি আর মনে হয়, কতটা ভাগ্যবতী আমি—কারণ এটা আমার নিজের বাবা। যার সাথেই এখনো থাকি আমি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আমার বাবার মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছি, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব। বাবা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি হাজার বছর বেঁচে থেকো। তোমার মতো বাবা সত্যিই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় নেয়ামত।’

বাবা সম্পর্কে দুতি লেখেন, ‘আমার বাবা শুধু আমার কাছে সেরা বাবা নন, একজন মানুষ হিসেবেও তিনি সবার কাছে শ্রেষ্ঠ। অদ্ভুত ভালো মনের অধিকারী, সবার প্রতি ভালোবাসা আর যত্নশীলতা তাঁর স্বভাব। বাবাকে নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবে না। সবার কাছে অনুরোধ, আমার বাবার জন্য অনেক দোয়া করবেন, আমাদের পরিবারের জন্যও দোয়া করবেন। বারাকাল্লাহ—আল্লাহ্‌র রহমতে যেন সব সময় সুরক্ষিত থাকেন, আর কোনো খারাপ দৃষ্টি তাঁর ওপর না লাগে।’

এসইউ/জেআইএম

Read Entire Article