বাবাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় ছেলে

6 hours ago 7

জয়পুরহাটের কালাইয়ে পুকুরের পাহারাদার রজ্জব আলীর মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যাননি। ছেলে শাহীন মণ্ডল তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। শাহীন মণ্ডল তার বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, নিহত রজব আলীর ছেলে শাহিন তার বাবাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ছেলে শাহিন এলাকায় চুরি করতেন। এ কারণে শাহিনকে একদিন মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাড়ি ফিরে ক্ষোভ থেকে তার বাবাকে হত্যা করে ছেলে শাহিন।

স্থানীয়রা জানান, কালাই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা রজব আলী পাশের বলিগ্রামে সাখাওয়াত হোসেনের পুকুরে নৈশপ্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সকালে ওই পুকুরে রজব আলীর মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কালাই থানা পুলিশ রজব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কালাই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি কালাই থানা পুলিশ জানায়, রজব আলীর মৃত্যু স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কালাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার বলেন, রজব আলীর লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে পুকুর পাড়ের প্রায় ৫০ গজ দূরে মাটিতে সামান্য রক্ত পড়ে ছিল। এ ছাড়া মৃত রজব আলীর নাকে রক্ত ও কপালে ক্ষত ছিল। তখন থেকে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ময়নাতদন্তের পর হত্যার বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

Read Entire Article