বায়ুদূষণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর

1 week ago 4

বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং শুধু বায়ুদূষণের কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু সাড়ে পাঁচ বছর কমছে। এছাড়া ধূমপান ২ বছর এবং শিশু ও মাতৃকালের পুষ্টিহীনতা ১.৪ বছর জীবনকাল কমিয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত নতুন এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বস্তুকণা দূষণ (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার মান পূরণ করলে একজন বাংলাদেশি গড়ে সাড়ে পাঁচ বছর দীর্ঘজীবী হতে পারেন। দেশের সবচেয়ে দূষিত এলাকা— গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা— এ কারণে একজন বাসিন্দার জীবনকাল সাড়ে ৬ বছর হ্রাস পায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বায়ুদূষণই জীবনকাল হ্রাসের সবচেয়ে বড় বাহ্যিক হুমকি। দেশের ১৬ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ এমন অঞ্চলে বসবাস করছে, যেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকা এবং দেশের জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে কম দূষিত জেলা লালমনিরহাটেও কণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকার সাতগুণ বেশি।

আরও পড়ুন

১৯৯৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কণা দূষণের মাত্রা ৬৬.২ শতাংশ বেড়েছে, যার ফলে মানুষের জীবনকাল আরও ২.৪ বছর হ্রাস পেয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে দূষণ দেশের জাতীয় মান অনুযায়ী হ্রাস করলে জীবনকাল যথাক্রমে ৪.১ ও ৩.৩ বছর বাড়তে পারতো।

বায়ুদূষণে তৃতীয় শীর্ষ শহর দিল্লি, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার বায়ু দূষণেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে বায়ু দূষণ ২.৮ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৩ বছর এবং সবচেয়ে দূষিত এলাকায় ৮ বছরেরও বেশি হ্রাস পাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দাবানল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বায়ুর মান খারাপ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবানলের ঘনত্ব ও পুনরাবৃত্তি বেড়েছে, যা পূর্বে অর্জিত স্বচ্ছ বাতাসের অগ্রগতি বিপরীতমুখী করছে।

একিউএলআই পরিচালক তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘এখনো বায়ুদূষণই বিশ্বের মানুষের জীবনকাল ছোট হওয়ার প্রধান কারণ। জীবাশ্ম জ্বালানির উৎসে মনোযোগ দিলে স্থানীয় বায়ু পরিষ্কার হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। দেশগুলোকে সঠিক তথ্যভিত্তিক নীতি প্রণয়নের সক্ষমতা প্রয়োজন।’

সূত্র: ইউএনবি

ইএ

Read Entire Article