ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে গ্রেপ্তার চালকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব বলছে, বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের (২৬) লাইসেন্স নবায়ন ছিল না এবং তিনি নেশা করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বাসচালকের বরাতে বলেন, বাসটি অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন। দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।
তাপস কর্মকার বলেন, চালক নুর উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে, তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে গতকাল বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে চালক নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, গাজীপুর অঞ্চল হাইওয়ে পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এরপর তিনি জানান, পরিচয় নিশ্চিতের পর বাসচালককে গ্রেপ্তার করে তার আত্মীয়কে (ভায়রা ভাই) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নাহিদ (২৬) নামে বাসচালকের সহকারী এখনো পলাতক।
শুক্রবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় কুয়াকাটাগামী বেপারী পরিবহনের বাস থেমে থাকা প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ছয়জন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর বাসটি আটক করা হলেও এর স্টাফরা পালিয়ে যান।