বাসের সিট ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, বিচার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

2 days ago 8

তুচ্ছ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার দাবি করেছেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আশহাদুল ইসলাম (ইশমাম), সাব্বির আহমেদ, মাহফুজ উল হক সুমন গাজী, মেজবাউল আলম ফজলে রাব্বী ও রাশেদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, গতকাল শনিবার মধ্যরাতে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুমন গাজীকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসে বিচার দাবিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

তারা আরও জানান, সেখানে রাকিব তার ভুল স্বীকার করে মাফ চান এবং এ বিষয়ে লিখিত মুচলেকা দিতে সম্মত হন। এ সিদ্ধান্তকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানান। তবে মিটিংয়ের এ সিদ্ধান্ত বাইরে জানাতে গেলে সেখানে উপস্থিত আল ফিকহ ও অন্য অনুষদের কিছু শিক্ষার্থী ‘আল ফিকহ’ বিভাগের নামে স্লোগানসহ বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এরপর তারা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত ও পরিকল্পিত হামলা চালান।

তাদের অভিযোগ- এ হামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ও ইন্ধনদাতা হলেন জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিনুর (জিয়া হল) ও হাসানুল বান্না (লালন হল)। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই বলে জানান তারা। তবে আহত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন বলে দাবি তাদের।

এ সময় প্রক্টর তাদের নিবৃত্ত করতে এলে হামলার মাঝখানে পড়ে যান। সেখান থেকে আইনের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর স্যারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন বলেও জানান তারা।

হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, প্রক্টর ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে যে বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক নিউজ প্রচার করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে সংবাদ সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো বানোয়াট নিউজ দেখাতে পারেনি তারা। এছাড়া আইন বিভাগের ইশমামকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে আমাদের ন্যায্য দাবিকে এক কুচক্রী মহল ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এরই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস, হল ও মেসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অবিলম্বে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জুনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক সিনিয়র শিক্ষার্থীর ওপর হামলার পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া মারধর ও আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে, গতকাল শনিবার রাতে বাস ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Read Entire Article