বিএডিসির সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

3 months ago 46

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশেনের (বিএডিসি) সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের সার আত্মসাতের মামলায় তাদের দুদকে তলব করা হয়।

সোমবার (৩ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- বিএডিসির সাবেক চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ ও অমিত সরকার, পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হালিম ও মো. ইব্রাহীম হোসেন। এর আগে রোববার ৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। গত ২৮ মে তাদেরকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, পোটন ট্রেডার্সের মালিক কামরুল আশরাফ খান (পোটন) সাবেক সংসদ সদস্য ও সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। তার বিরুদ্ধে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিএডিসির বিদেশ থেকে আমদানি করা এক হাজার কোটি টাকা মূল্যের এমপিও, টিএসপি ও ডিএপি- এ তিন ধরনের এক লাখ ৮৪ হাজার ৭১ টন সার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক।

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার সরবরাহ না করে আত্মসাতের অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলার আসামিরা হলেন— ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মালিক ও সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (পোটন), ওই প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন (নিপু) ও মো. নাজমুল আলম (বাদল), পোটন ট্রেডার্সের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং প্রতিনিধি (খুলনা ও নওয়াপাড়া) মো. আতাউর রহমান।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ২০২১-২২ অর্থবছরে সরবরাহের জন্য বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করেন। তবে তারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে চুক্তিকৃত বাফার গুদামে না দিয়ে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকার ৭১ হাজার ৮০১ টন ৩১ কেজি সার আত্মসাৎ করেছেন। কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের ৫০ দিনের মধ্যে সার গুদামে পৌঁছে দেওয়া কথা ছিল। সেটা না করে সার ট্রানজিটে রয়েছে বলে বিসিআইসিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়।

এসএম/কেএসআর

Read Entire Article