বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সব ধরনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামীতে বিএনপি যদি দায়িত্ব পায়, সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পকেট থেকে কোনো পয়সা খরচ করতে হবে না। বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষা এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কামার-কুমার থেকে শুরু করে যারা কাজ করছে, তাদের জন্য বিশাল প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। বাড়িতে বসে পণ্য তৈরি করে বিদেশি রপ্তানি করার ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শেয়ার বাজার, ব্যাংকিংসহ সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে সবাই যাতে এই সুযোগ পায়, সবাই যাতে ব্যবসা এবং চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস হলের সামনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। র্যালিটির আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন।
এ সময় তিনি বলেন, আজকে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি হিসেবে আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন। এটার কারণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, উন্নয়নের উদ্যোগ, চাষি, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ ছিল একটি গোষ্ঠীর হাতে সীমাবদ্ধ।
আমীর খসরু বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা ও উদ্যোগে নতুন বাংলাদেশ গঠনের যে প্রত্যয় দিয়েছিলেন, তা পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, সৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আমাদের নেতা তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানের প্রতিটি স্বপ্নের সঙ্গে নিজেদেরকে দেখতে পাচ্ছেন। স্বপ্নগুলো কী? এক নম্বর স্বপ্ন হচ্ছে-বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান। তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, ক্ষমতায় যদি দেশের মানুষ আমাদেরকে দায়িত্ব দেয়, প্রথম আঠারো মাসে এক কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। চাকরি করবে, ব্যবসা করবে, দেশে কর্মসংস্থান ও বাইরে কর্মসংস্থান-সবকিছু পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে।
আমীর খসরু বলেন, শুধু রাজনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ নয়, অর্থনীতিকেও গণতন্ত্রায়ণ করতে হবে। অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ করে বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ যাতে আগামী বাংলাদেশে অর্থনীতিতে উন্নয়নের সহযোগিতা করতে পারে, অংশগ্রহণ করতে পারে, নিজেদের জীবনযাপনের মান উন্নয়ন করতে পারে-এটাই হবে আগামীর বাংলাদেশ, তারেক রহমানের নেতৃত্বে। আরও অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
খসরু আরও বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্র ফেরার পথে যদি কেউ বাধা দিতে চায়, নির্বাচনকে বাধা দেওয়া মানে- গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা, বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা বন্ধ করা এবং আগামীতে মানুষের রাজনৈতিক সংবিধানিক অধিকারে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা। সুতরাং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের হৃদয় জানে, আজকে বাংলাদেশে ধানের শীষের জোয়ার শুরু হয়েছে। এই জোয়ারকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তারা ভেসে যাবে। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। দেশের মানুষ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করতে পারবে। এখন কেউ যদি মনে করে তারা নির্বাচিত হতে পারবে না, সেজন্য নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, সেটা তাদের সমস্যা; এটা বাংলাদেশের মানুষের সমস্যা নয়। সুতরাং বার্তা পরিষ্কার, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সমস্ত জনগণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের গ্রামে গঞ্জে যেতে হবে, তারেক রহমানের নির্দেশিত খালকাটা প্রকল্প হাতে নিতে হবে। প্রত্যেক এলাকার খালগুলো কেটে পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে। তারেক রহমান সাহেব ৩০ কোটি গাছ লাগাবেন। সবাই মিলে আগামী বাংলাদেশ করতে হবে। শুধু নেতা নয়, সবার অবদান থাকতে হবে।