বিএনপি থেকে সাবেক এমপি নূরুল কবীর শাহীনের পদত্যাগ

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রোববার (২৮ ডিসেম্বর/২৫) দুপুর ১২টায় ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি দলের সকল কার্যক্রম ও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন বলেন, ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ফজলুল হক হলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই তার রাজনীতিতে পথচলা শুরু। এরপর টানা ৪৩ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, এক-এগারোর সংকটকালীন সময়ে টেলিভিশনের টকশোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দলের পক্ষে কথা বলা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে আমি একাধিকবার জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তিনি আরও জানান, ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও সে সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অ

বিএনপি থেকে সাবেক এমপি নূরুল কবীর শাহীনের পদত্যাগ

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রোববার (২৮ ডিসেম্বর/২৫) দুপুর ১২টায় ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি দলের সকল কার্যক্রম ও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন বলেন, ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ফজলুল হক হলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই তার রাজনীতিতে পথচলা শুরু। এরপর টানা ৪৩ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, এক-এগারোর সংকটকালীন সময়ে টেলিভিশনের টকশোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দলের পক্ষে কথা বলা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে আমি একাধিকবার জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

তিনি আরও জানান, ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও সে সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তিনি প্রার্থী হননি। ২০১৮ সালে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও জোটগত সিদ্ধান্তের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রার্থীতা থেকে বঞ্চিত হন। এরপরও দলের দুঃসময়ে তিনি নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে নিরলসভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে গেছি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তার দীর্ঘ ত্যাগ ও অবদানের মূল্যায়ন করবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত একাধিক মনোনয়ন রদবদল হলেও আমার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় আমি দলের সকল কর্মকান্ড সহ দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ ঘোষণা করছি। পদত্যাগপত্র দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তাকে মনোনয়ন নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে এখনো তিনি অন্য কোনো দল থেকে নির্বাচন করবেন কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। মাঠের বিপুল জনসমর্থনের ভিত্তিতে প্রয়োজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে তিনি জানান ।

উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফুল্লাহেল মাজেদ। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে গত ১৮ ডিসেম্বর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow