নাটোরের লালপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা খোকনসহ তার দুই সন্তানকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা লালপুর ত্রিমোহিনী চত্বরে দুই দফায় ৪ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে যৌথবাহিনীর একটি দল উপজেলার দক্ষিণ লালপুর কলোনি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোকনসহ (৫০) তার দুই সন্তান ফিরোজ (৩২) ও অনিককে (২৪) আটক করে লালপুর থানায় সোপর্দ করে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ও দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে তাদের মুক্তির দাবিতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা দুই দফায় ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন। এতে লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি ও তার ভাই জাহাঙ্গীর মেম্বার ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খোকনকে মারধর করে একটি মোবাইল ফোন ভেঙে দেয়। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সেই মোবাইল ভাঙচুরের ঘটনা ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে নিষ্পত্তি করেন তারা। সেই ২০ হাজার টাকা লেনদেনের ঘটনা গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন তারা।
পরে ভিডিও ক্লিপটি ভাইরাল হলে অভিযান চালিয়ে খোকনসহ তার দুই সন্তান ফিরোজ ও অনিককে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
খোকনের স্ত্রী রত্না বেগম জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়ি ঘিরে ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামী খোকনসহ দুই ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হারুনার রশিদ পাপ্পু কালবেলাকে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাদের আটক করা হয়েছে।
লালপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি দৈনিক কালবেলাকে জানান, আমি ও আমার পরিবার কোনো অভিযোগ করিনি। আমরা ডেভিল হান্ট অভিযানে আটকের ভয়ে বাড়ি ছাড়া।
এ ব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুজ্জামান কালবেলাকে জানান, ১৫১ ধারায় অপরাধ নিবারণকল্পে অপরাধ প্রতিরোধ আইনে দুপুরে আটকদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।