বিএনপির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, চাষাবাদে বাধা

1 month ago 8

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বিএনপির সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উত্তরাধিকার সূত্রে ওই জমির মালিক মৃত আব্দুল হামিদের সন্তানরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সামাজিকভাবে দফায় দফায় এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানছে না প্রতিপক্ষ। উল্টো বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জমির প্রকৃত মালিকানার সত্যতা পেয়ে পৈতৃক জমি চাষাবাদে প্রতিপক্ষকে বাধা দিতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। তারপরও থেমে নেই প্রতিপক্ষ। জমি ভাগিয়ে নিতে পক্ষটি একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

অভিযুক্ত ছাদির মিয়া জেলার নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৈবত হাটির মৃত মুছন্দালীর ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপি সাবেক গ্রামবিষয়ক সম্পাদক। গত ১৭ সেপ্টেম্বর কয়েকজন সহযোগী নিয়ে আব্দুল হামিদের মেজ ছেলে মঞ্জিল হোসেনকে পৈতৃক জমিতে চাষাবাদে বাধা এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। একই দিন ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

ভুক্তভোগী মঞ্জিল হোসেন বলেন, ‘জমির শতভাগ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একের পর এক সালিশের মাধ্যমে আমাদের কোণঠাসা করে রাখেন ছাদির মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে আমরা মামলা করি। আদালত আমার পক্ষে এবং তাদের বিপক্ষে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটি চলমান থাকলেও ক্ষান্ত হননি দখলকারীরা। গত সেপ্টেম্বর থেকে তারা নতুন করে চক্রান্তে লিপ্ত হন। এবার বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেওয়ার পাশাপাশি আমাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় লাঠিয়াল ভাড়া করে জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি এবং জমিতে চলমান চাষাবাদ ও সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন তারা।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাদির মিয়া বলেন, আমার কাছে ওই জমির দলিল রয়েছে। পরে জমির দলিল পাঠাতে বললে তিনি সাড়া দেননি।

নিকলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদরুল মোমেন মিঠু বলেন, দলে সাদির মেম্বারের পদ-পদবি নেই। তারপরও জেলা বিএনপির সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আরিফ উদ্দীন বলেন, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও তারা জমির বিষয়টি নিয়ে বসেছিলেন। তবে সমাধান হয়নি। যেহেতু জায়গা-জমির বিষয়, তাই উভয়পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এসকে রাসেল/এসআর/এএসএম

Read Entire Article