জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিগত ১৮ বছর দেশে বর্বরের শাসন ছিল। রাজনীতি-অর্থনীতি সব ধ্বংস করে দিয়ে ভোটের অধিকার হত্যা করা হয়েছে। সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে, ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছিল শেখ হাসিনা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আরকে সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পাঁচ মাস যেতে পারেনি একটা সরকার। সেই সরকার নির্বাচন নিয়ে কাজ করবে, জনগণকে নিয়ে চলবে, নাকি হাসিনার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। আমাদের সন্তানরা যে রক্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে সেই রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, কিছু দলের লোকজনের যেন আর সহ্য হচ্ছে না। এখনই নির্বাচন চায়, ভোটের জন্য পাগল হয়ে গেছে। একটু ধৈর্য ধরেন, কিছু সংস্কার হোক। এই অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে জাতির সামনে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে। বিচার না করে নির্বাচন করলে আবার কালো যুগ ফিরে আসবে। নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। নির্বাচনের আগেই বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১৭ বছর একটি বর্বর জাহেলি যুগ পার করে এসেছি। যে যুগে আমাদের কোনো ভোটাধিকার ছিল না, গণতন্ত্র ছিল না। ধর্মীয় অধিকার, আইনের শাসন ও অর্থনৈতিক অধিকার ছিল না। সতের-আঠারটি বছর আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমাদের সন্তানদের চাকরি, রাজনীতি-অর্থনীতি সব তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।
মুক্তাগাছা উপজেলা আমির অধ্যাপক শামসুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. সামিউল ফারুকী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল করিম, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ, সহ-সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রশিদ ফরাজী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খালিদ প্রমুখ।