বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টঙ্গী থানার খাপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. হৃদয় রাফসানি শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার হেফাজত থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত ৪২ লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ৩০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৪৫টি বেনামে নিবন্ধিত সিম, বিমানের সাতটি নকল টিকেট ও ৯টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্র ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর এলাকায় সাহাজাদি এন্টারপ্রাইজ নামে বিদেশে কর্মী প্রেরণের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। প্রতারক চক্রটি বিদেশে গমনে ইচ্ছুক কর্মীদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পাতে। তারা অনলাইনে মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করা ও ভালো চাকরির কথা বলে প্রলুদ্ধ করতে প্রচারণা চালায়। গত ২ নভেম্বর ভিকটিম আমিরুল ইসলাম অনলাইনে তাদের প্রচারণা দেখে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ও তাদের কথা মতো উক্ত প্রতিষ্ঠানে যায়। প্রতারক চক্র তাকে মেকানিক্যাল কর্মী হিসেবে তাইওয়ানে পাঠাবে বলে জানায়। ভিকটিম প্রতারক চক্রকে তাদের কথা অনুযায়ী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। প্রতারক চক্রটি ভিকটিম আমিরুলসহ আরো ১২ জনকে একসাথে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং তাদেরকে ভিসা ও বিমানের টিকেট প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিম জানতে পারেন ভিসা ও বিমানের টিকেট গুলো জাল।
থানা সূত্রে আরেও জানা যায়, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গী থানার খাপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হৃদয় রাফসানি শাহজাহান ওরফে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় কামরুলের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা ২২ লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার স্ত্রীর কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে আত্মসাৎ করা আরও ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার কামরুলকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।