বিদেশে পালানোর আগেই গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কলেজছাত্র মুরাদ হাসান হত্যা মামলার মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম উপজেলার আলাবক্সপুর গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য। অপরদিকে নিহত মুরাদ নান্দাইল পৌরসভার কাকচর মহল্লার বাসিন্দা মো. তফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হামিম বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। যে কোনো সময় তিনি বিদেশ চলে যেতে পারেন। এ অবস্থায় শুক্রবার কাতার যাওয়ার আগমুহূর্তে তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে নান্দাইল থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে লিফলেট বিতরণ করছিলেন কলেজছাত্র মুরাদসহ অনেকেই। এ সময় তাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতারা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারকারীদের ধাওয়া দিয়ে স্থানীয় চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠের কিনারায় নিয়ে মুরাদসহ অনেককেই লাঠিসোঁঠা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করেন।
অন্যরা সামান্য আহত হয়ে পালিয়ে রক্ষা পেলেও মুরাদ মাটিতে পড়ে যান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম মুরাদের বুকের ওপর উঠে ছুরিকাঘাতে করতে থাকেন। পরে আহত মুরাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে নিহতের পরিবার একটি হত্যা মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে নান্দাইল থানা পুলিশ।