বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাজুসের সভাপতি হলেন দোলন

7 hours ago 7
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভোর্সের মালিক ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তিনি বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।  এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাজুসের তৎকালীন কমিটি এনামুল হক দোলনকে সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তার সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হয়। পরে অভ্যন্তরীণ সমঝোতার ভিত্তিতে দোলনকে আবারও সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। নতুন কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্সের (প্রা.) রনজিৎ ঘোষ। সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আপন ডায়মন্ড হাউসের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউস (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সি জুয়েলার্সের অমিত ঘোষ। পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আরও ২৯ জন সদস্য। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে এবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। বাজুসের ইতিহাসে এটাই প্রথমবার কোনো সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই কমিটি গঠিত হলো। নির্বাচন বোর্ডের ঘোষণায় বলা হয়, বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচিত পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় নতুন সভাপতি এনামুল হক খান দোলন বলেন, ‘দেশে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ থাকলেও প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। এত কঠিন প্রক্রিয়ার কারণে যে দামে সোনা আমদানি হয়, সে দামে ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হন না। তাই আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন স্বর্ণ আমদানির প্রক্রিয়া সহজ না হয়, ততদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণ আনার যে ব্যবস্থা আগে ছিল, সেটি পুনরায় চালু করতে আমরা উদ্যোগ নেব।’ চোরাকারবার ও ব্যবসা এক নয় উল্লেখ করে দোলন বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি এক জিনিস নয়, যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী, তারা কখনোই অবৈধ পথে স্বর্ণ আনে না। আমাদের এ বিষয়টি সমাজে পরিষ্কারভাবে বোঝাতে হবে।’ নির্বাচিত ২৯ জন পরিচালক হলেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগরওয়াল, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, কর্ণধার বাবলু দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিজানুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তফা কামাল, কর্ণধার ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, কর্ণধার মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহম্মেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।
Read Entire Article