বিপিএলে মাশরাফির খেলা নিয়ে যা জানালেন সিলেট স্ট্রাইকার্স কোচ

বিপিএলের ১১তম আসর শুরু হতে ৪৮ ঘণ্টাও হাতে নেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ৭ দলের অংশগ্রহণে খেলা হবে মোট ৪৬ ম্যাচ। আসরের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্টাইকার্স।

২০১৭ সাল থেকে বিপিএলে খেলছে সিলেট। এখন পর্যন্ত একবারও ফাইনাল খেলতে পারেনি। গেল ২০২৪ সালের আসরে ১০ ম্যাচে ৭টিতেই হেরেছে দলটি। সবচেয়ে আলোচনা হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার ফর্ম নিয়ে। সমালোচনা মুখে পড়ে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দল থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

এবারও মাশরাফি আছেন। স্কোয়াডে থাকলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তিনি খেলবেন না বলেই এখন পর্যন্ত খবর। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের খেলা না খেলা, নতুন অধিনায়ক কে হবেন, স্কোয়াডসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজ শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সিলেটের কোচ মাহমুদ ইমন।

প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে মাহমুদ ইমন বলেন, ‘স্থানীয় সবাই ছিল অনুশীলনে। নিলাম থেকে যাদের নিয়েছি তারা সবাই এভেইলেবল ছিল; শুধু মাশরাফি ছাড়া। আর আমাদের বিদেশি খেলোয়াড় আজকে দুজন ছিল। দুজন ইতোমধ্যে হোটেলে চলে এসেছে। বাকিরা অন দ্য ওয়ে।’

সিলেট এখনো অধিনায়ক নির্বাচিত করেনি। তবে আজকের মধ্যেই দলের নেতৃত্ব খুঁজে নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এ বিষয়ে মাহমুদ ইমন বলেন, ‘অধিনায়ক আমাদের এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকে আমাদের মালিকসহ কোচিং স্টাফদের মিটিং আছে। আজকেই ঘোষণা করবো।’

মাশরাফিকে সিলেট কোচ বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডে এখনও আছে। কারণ, এই দলের ওতপ্রোত অংশ হচ্ছে মাশরাফি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে- ও কী ফিল করছে, ফিটনেসের অবস্থা কী। ও যদি খেলার পর্যায়ে থাকে বা পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই খেলবে।’

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে কিনা, এ বিষয়ে মাহমুদ ইমন বলেন, ‘কথাবার্তা চলতেছে। কিন্তু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ফিটনেসের অবস্থা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। প্রস্তুতিটা গুরুত্বপূর্ণ।’

মাশরাফি কতদিন স্কোয়াডে থাকবেন, এমন প্রশ্নে সিলেট অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত। যতক্ষণ পর্যন্ত ও (মাশরাফি) ফিট হবে না খেলার জন্য; আমরা মনে করি ততদিন পর্যন্ত আমরা বিবেচনায় আনবো না ওকে। আমরা ওর জন্য অপেক্ষা করবো। এটা ওর কল। ও যখনই বলবে খেলার জন্য তৈরি আছে। তারপরও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। যখন আর সময় থাকবে না। তখন ওই জায়গায় আমরা অন্য খেলোয়াড় ডাকবো।’

এআরবি/এমএইচ/এএসএম