বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন সেই সর্ব মিত্র চাকমা

3 hours ago 5
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী’ জোট প্যানেলের প্রার্থী সর্ব মিত্র চাকমা। তিনি ৮ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়েছেন।  বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় সিনেট ভবনে ডাকসুর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন ফল ঘোষণা করেন।  এদিকে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। তবে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আবিদুল ইসলাম খান ও উমামা ফাতেমা। এ ছাড়া আব্দুল কাদেরও নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা করে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন।  চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থী এস এম ফরহাদ সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত শেখ তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট পেয়েছেন বাম সমর্থিত মেঘমল্লার বসু। বৈষম্যবিরোধী প্যানেলের প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার পেয়েছেন ৮৪৫ ভোট, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আশিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৭৭ ভোট।  সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মো. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। জগন্নাথ হল ছাড়া বাকি সব হলে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন ফরহাদ। তবে জগন্নাথ হলে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৫ ভোট। সেখানে বাম সমর্থিত মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ১ হাজার ১৭০ ভোট এবং ছাত্রদল সমর্থিত হামীম পেয়েছেন ৩৯৮ ভোট। এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ডাকসু নির্বাচন। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে স্থাপিত ৮১০টি বুথে ডাকসু ও হল সংসদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ভোটার ছিলেন ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৯১৫ জন। ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এ ছাড়া প্রতিটি হলে (১৮টি) ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সব মিলিয়ে ৪১টি পদে ভোট প্রদান করতে হয়েছে।
Read Entire Article