বিপৎসীমার ওপরে কুশিয়ারার পানি, ৫০ গ্রাম প্লাবিত

3 months ago 34

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে বিভিন্ন স্থানে পানি প্রবেশ করছে। ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক ডুবে কসবা গ্রাম, কসবা বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করছে।

এছাড়া দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর, ফাদুল্লাহ, দুর্গাপুর, মথুরাপুর, হোসেনপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, গালিমপুর, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, উমরপুর, দীঘর ব্রাহ্মণগ্রাম, বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের সোনাপুর, চরগাঁওসহ কয়েকটি গ্রাম, বড় ভাকৈর (পূর্ব), ইনাতগঞ্জের উমরপুর, মোস্তফাপুর, দক্ষিণগ্রাম, পাঠানহাটি, মনসুরপুর, দরবেশপুর, দিঘীরপাড়, নোয়াগাঁও, চন্ডিপুর, প্রজা, লামলীপাড়, আউশকান্দির বনগাঁও, পারকুল গ্রাম পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।

বিপৎসীমার ওপরে কুশিয়ারার পানি, ৫০ গ্রাম প্লাবিত

পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ রূপ আকার ধারণ করছে বন্যা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। অসহায় মানুষ ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইনাতগঞ্জের মোস্তফাপুর পাঠানহাটি গ্রামের পাকা সড়ক, দীঘলবাক গ্রামের পাকাসড়কসহ ১৫-২০টি পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ইনাতগঞ্জে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের অন্যতম গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও পারকুলে অবস্থিত বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২-৩ হাত নিচে বর্তমান পানি রয়েছে। তবে দ্রুত হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় গ্যাসক্ষেত্রে পানি প্রবেশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাশ অনুপ জাগো নিউজকে বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় দুর্ভোগে পড়ে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। ইতিমধ্যে ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আমরা সবসময় মানুষের পাশে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এনআইবি/এমএস

Read Entire Article