বিয়ে বা বিবাহ হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি। এ চুক্তি বা বন্ধনের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক খুব মধুর সম্পর্ক।
তবে, অনেকেই এ সম্পর্ক মজবুত রাখতে পারেন না। বা সবার ভাগ্যে মজবুত রাখার সুযোগ হয় না। অনেক সময় ছোটখাটো ভুল থেকেই তিক্ততার জন্ম নেয়। যা থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য বিয়ের পরেই কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, যেগুলো ভুলেও করা যাবে না।
আসুন জেনে নেওয়া যাক বিয়ের পর কোন কোন ভুল একদমই করা যাবে না।
অতিরিক্ত পজিটিভ হওয়া :
অতিরিক্ত পজিটিভ হওয়া অর্থাৎ বিয়ের পরেই সঙ্গীর ব্যাপারে খুব বেশি পজিটিভ হওয়া যাবে না। তার কোনও কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। তাহলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। বিশ্বাস রাখতে হবে এবং সঙ্গীকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার সুযোগ দিতে হবে। এতে দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকা যাবে।
তুলনা করবেন না :
সারা জীবন সুখে থাকতে হলে বিয়ের পর অন্য কারও সঙ্গে স্বামী বা স্ত্রীর তুলনা করা যাবে না। এমন কি নিজের মা, বোন অথবা বাবা ভাইয়ের তুলনাও করবেন না। এতে অপর ব্যক্তি মনে মনে খুব আঘাত পান, ব্যথিত হন। সেইসঙ্গে হীনমন্যতায় ভোগেন। এতে আপনাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যাবে। তাই জীবনসঙ্গীকে যেমন ভাবে পেয়েছেন, তেমনভাবে নিয়েই সারা জীবন সুখে থাকার চেষ্টা করুন থাকুন।
কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না :
কোন কিছু সঙ্গীর উপর জোর করে চাপিয়ে দিবেন না। নিজের যদি কোনও মত থাকে, তাহলে সেটা সঙ্গীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। সঙ্গীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে শিখুন। যদি তিনি আপনার কথা না শোনেন, তাহলে তাকে আরও ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করুন। দুজনের চিন্তা ভাবনাতে মিল আনার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের সম্পর্ক খুব ভালো হবে।
পরিবারের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না :
বিয়ের পর অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সঙ্গীরা একে অপরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তুলনা করেন। অশান্তি হলে পরিবারের সদস্যদের প্রসঙ্গ টেনে এনে খারাপ কথা বলেন। এটি খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। এতে করে দুই পরিবারের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এগুলো পরিহার করতে হবে।
অন্য লোকের কথায় পরিচালিত না হওয়া :
অন্য কারও কথায় পরিচালিত হওয়া যাবে না এবং দাম্পত্য জীবনে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি যেন ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনাদের জীবনে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি প্রবেশ করলে সম্পর্কে অশান্তি টেনে আনতে পারে। সেই সমস্যা থেকে সহজে বের হতে পারবেন না আপনি। এমনকি এক পর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধান হোন।