বিমানবন্দরে ২ বিমানের সংঘর্ষ
বিমানবন্দরে অবতরণের পর দুই বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন তিনজন। খবর সিবিএস নিউজের।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অ্যারিজোনার স্কটসডেল বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ব্যান্ড মোটলি ক্রুয়ের ভিন্স নিলের মালিকানাধীন লিয়ারজেট-৩৫এ বিমানটি দুপুর ২ট ৪৫ মিনিটে স্কটসডেল মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে সরে যায়। এ সময় একটি গালফস্ট্রিম-২০০ বাণিজ্যিক বিমান নিজস্ব জায়গায় পার্ক করা ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারানো বিমানটি সেই পার্কিংয়ে গিয়ে অন্য বিমানটিকে ধাক্কা দেয়।
স্কটসডেল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ক্যাপ্টেন ডেভ ফোলিও বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মীরা পাঁচজন আহতকে বিমানবন্দর হাসপাতালে আনেন। একজনকে পৌঁছানোর সাথে সাথে মৃত ঘোষণা করা হয়। আরও তিনজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছে, ধাক্কা দেওয়া বিমানটির পাইলট নিহত হয়েছেন। সিবিএস তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
বিমান দুর্ঘটনা যেন যুক্তরাষ্ট্রের পিছু ছাড়ছে না। এর আগে আলাস্কায় মার্কিন কোস্টগার্ড শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিখোঁজ এক বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। এর আগে বৃহস্পতিবার হঠাৎ মাঝ আকাশে থাকাবস্থায় ১০ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয় বিমানটি। এ ঘটনায় সবার মরদেহ উদ্ধার সম্ভব না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ১০ জনই নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার নর্থইস্ট এলাকায় একটি মেডিকেল বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যায়। এর ফলে আশপাশের কয়েকটি বাড়িঘর ও গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমানটি নর্থইস্ট ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে মিসৌরির দিকে রওনা হয়েছিল।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, প্লেনটিতে ছয়জন ছিল, যার মধ্যে চারজন ক্রু ও দুজন যাত্রী। এক যাত্রী ছিল শিশু।
তার আগে গত ২৯ জানুয়ারি ওরোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের সাথে সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয় এবং উভয়টি পোটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ক্রু, যাত্রী ও সেনাসহ ৬৭ জনই নিহত হয়েছেন।