বিদেশ সফরে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ফ্লাইট সেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। একই সঙ্গে বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট, শিডিউল বিপর্যয়, লাগেজ সরবরাহে দৈন্যতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ আকবর লেখেন, শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে প্রায় দুই বছর হলো। ঘুরে বেড়াচ্ছি বিদেশ বিভুঁই। বিদেশ সফরে আমার প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিমান) আর ইউ এস বাংলা। আমি ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কাটি, বিজনেস ক্লাস খুব অস্বস্তিকর দামি, অপচয় মনে হয়। তবে সিট খালি থাকলে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিমান কর্তৃপক্ষ বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করে দেয়, এটা খুব সম্মানের সঙ্গে উপভোগ করি।
খাবারের মান আর আপ্যায়নে বিমান সেরা জানিয়ে ওই পোস্টে বলা হয়, বিমানের লাগেজ সেক্টরে পুরোনো দৈন্যতা রয়েই গেছে, মাঝে মাঝে ফ্লাইট শিডিউলও ঠিক থাকে না। বিমান হতে পারে দেড় কোটি প্রবাসীর স্বপ্নের ক্যারিয়ার। তাদের মোট এয়ারক্রাফট এখন ২৪টি। টিকিটের সিন্ডিকেট ভাঙার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি নিয়ম করেছে পাসপোর্ট ছাড়া টিকিট বুকিং দেওয়া যাবে না। এটা করা সম্ভব হলে নাগালের মধ্যে চলে আসবে টিকিটের দাম, ভেঙে যাবে সিন্ডিকেট, প্রবাসী এবং পর্যটকরা পাবেন ন্যায্য দামে টিকিট। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মতো কিছু অপশন প্রাইভেট কোম্পানির কাছে ছেড়ে দিলে সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।
আসিফ আকবরের পোস্টে আরও বলা হয়, শেষ লন্ডন সফরে দেখলাম এক লোক খুব চোটপাট দেখাচ্ছে বিমানের অফিশিয়ালদের সঙ্গে। যখন হিথ্রোর নিজস্ব সিকিউরিটি আসলো তখন তিনি দমে গেলেন, কারণ ভুলটা তারই ছিল। এই ব্যবহার অবশ্য বিদেশি অন্য এয়ারলাইন্স হলে করতেন না।
ব্যাপারটা এ রকম-আমাদের ব্যবহার ফার্মগেটে এক রকম, আর জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে অত্যন্ত সুবোধ! বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জাতীয় পতাকাবাহী ক্যারিয়ার, বিমান হয়ে উঠুক দেশের মানুষের অহঙ্কারের জায়গা। সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলে এমডি/ সিইও বরাবর মন্তব্য করার ফর্মও আছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-আকাশে শান্তির নীড়। শুভকামনা। ভালবাসা অবিরাম।
এমএমএ/এমআইএইচএস