পাঁচ দশকের বেশি সময় পর সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের পর চলতি বছরই প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে সরাসরি পণ্য আমদানি করছে বাংলাদেশ। এ আমদানি এরইমধ্যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের বরাতে জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইন খান বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরও বৃদ্ধি পাবে সম্প্রতি কাসুর ও ফয়সালাবাদ সফর শেষে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গতিশীল করার জন্য তিনি ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক সম্প্রদায়ের সাথে ব্যাপক আলোচনা করেছেন। নিজের এ সফরকে উৎপাদনশীল ও ফলপ্রসূ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের তুলা, চিনি, চাল, পোশাক (বিশেষ করে মহিলাদের পোশাক), ফলের (বিশেষ করে আম) ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পাকিস্তানে আনারস, পাট, ওষুধ ও গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করতে পারে।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা অসীম। ইতোমধ্যে পাকিস্তান বাংলাদেশে ২৬ হাজার টন চাল রপ্তানি করেছে। এটি প্রায় দুই দশকের মধ্যে প্রথম ঘটনা। ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের (টিসিপি) মাধ্যমে মোট ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি করা হবে। যার বাকি ২৪ হাজার টন আগামী মাসে রপ্তানি করা হবে।
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (বিটিসি) পাকিস্তান থেকে চাল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলে টিসিপি একটি টেন্ডার আহ্বান করে। টিসিপি ৫০ হাজার টন লং-গ্রিন হোয়াইট রাইস (আইআরআরআই-৬) এবং ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি পারবোয়েলড রাইসের টেন্ডার আহ্বান করে। তবে নন-বাসমতি পারবোয়েলড রাইসের জন্য কোনো বিড না আসায় নতুন টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, বাংলাদেশে চাল রপ্তানির জন্য কোম্পানিগুলোকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। চালের ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর এবং ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দরে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।