বিশ্ব স্ট্রোক দিবস: তাৎক্ষণিক পদক্ষেপই জীবন বাঁচানোর মূল চাবিকাঠি

10 hours ago 6

আজ ২৯ অক্টোবর, বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। ‘প্রতিটি মিনিটই মূল্যবান’—এই প্রতিপাদ্যে এবার বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন লাখো মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে—প্রতি মিনিটে বিশ্বের ৩০ জন মানুষ প্রথমবারের মতো স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। স্ট্রোক হলে প্রতি মিনিটে মস্তিষ্কের প্রায় ১৯ লাখ কোষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ট্রোক নিয়ে সচেতনতা ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপই জীবন বাঁচানোর মূল চাবিকাঠি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের ধরন প্রধানত দুইটি—ইসকেমিক ও হেমোরেজিক। এর মধ্যে ইসকেমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে কোষগুলো অক্সিজেনের অভাবে নষ্ট হতে থাকে। তবে দ্রুত চিকিৎসা নিলে রক্তপ্রবাহ পুনরুদ্ধার করে অনেক কোষ রক্ষা করা সম্ভব।

ঢাকায় বর্তমানে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও ল্যাবএইড হাসপাতালে স্ট্রোক চিকিৎসার দুটি আধুনিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সেগুলো হলো—IV Thrombolysis (স্ট্রোকের সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগযোগ্য) ও Mechanical Thrombectomy (৯ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগযোগ্য)।

নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. জালাল উদ্দীন রুমি বলছেন, যত দ্রুত রোগীকে শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা যায়, তত দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সচেতনতা ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপই জীবন বাঁচানোর মূল চাবিকাঠি।

স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ মনে রাখুন — “BE FAST”। এখানে B (Balance): হঠাৎ ভারসাম্য হারানো, E (Eyes): এক বা দুই চোখে ঝাপসা দেখা, F (Face): মুখ বেকে যাওয়া, A (Arm): এক হাত বা পা দুর্বল হয়ে যাওয়া, S (Speech): কথা জড়িয়ে যাওয়া এবং T (Time): দ্রুত হাসপাতালে যান।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্ট্রোক প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো সুস্থ জীবনযাপন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ।

ডা. রুমি বলেন, স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য— যদি আমরা সচেতন হই।

এসইউজে/এমএমকে/জেআইএম

Read Entire Article