বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিতেই চোখ জ্যোতির

2 hours ago 3

ভারতে হতে যাওয়া আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে কেবল মাত্র ৪ পয়েন্ট লাগে বাংলাদেশ নারী দলের। সামনে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩টি ওয়ানডের মধ্যে অন্তত দুটি জিততেই হবে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। তবেই মিলবে ভারত বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ। সে সুযোগ কাজে লাগাতেই ১৩ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে রওনা দেবেন জ্যোতিরা। শনিবার সফরটি সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে সেরা ছয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। সেজন্যই জিততে হবে তিনটির মধ্যে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ। জ্যোতিরও লক্ষ্য সেদিকে, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই যেন চারটা পয়েন্ট নিতে পারি, বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারি। আমাদের ওয়ানডে দলটা গত সিরিজে যেমন ভালো ক্রিকেট খেলছে, অনেক কিছুই হয়তো অনেকের মাথায় থাকবে। আমি আমার দলকে একটা পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই, ওখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে; সিরিজ জিততে হবে। পরের হিসাবটা পরে আসবে। ম্যাচ জিতলেতো সমীকরণ মিলেই যাবে। ম্যাচ জেতার দিকেই আমাদের ফোকাস।’

প্রতিপক্ষ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ শক্তি সামর্থ্যে প্রায় সমানে সমান। রেটিং সমান হলেও পয়েন্টের কারণে একধাপ এগিয়ে স্বাগতিকরা। অর্থাৎ টেবিলের সপ্তমস্থানে তারা। তবে ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে আবার এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ৭, সেখানে উইন্ডিজ ৯-এ। তবে নিজেদের মাঠে দলটি যে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে তা মেনেই নিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘দেখেন প্রত্যেকটা জায়গায় যেখানে আমরা খেলতে যাই না কেন, চ্যালেঞ্জ আমাদের থাকবেই। কোথাও কেউ আমাদের সহজভাবে স্বাগত জানাবে না। আমাদেরকে অবশ্যই কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের ইতিবাচক থাকার গুরুত্ব অনেক বেশি।’

সেন্ট কিটসে হতে যাওয়া ম্যাচগুলোর আগে জ্যোতিরা ফিরে তাকাচ্ছেন ২০১৮ সালে। সেবার ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সফর করেছিলেন তারা। সে অভিজ্ঞতা এবারও কাজ লাগাতে চান, ‘সেন্ট কিটসের উইকেট সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। হ্যাঁ, আমরা ২০১৮ সালে খেলে এসেছিলাম, ওই দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই এখানে নেই। সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করছে দল আসলে কীভাবে দেখছে এই সিরিজটাকে। শুধুই এটা কি একটা সিরিজ নাকি বিশ্বকাপের টিকিট—সেটা মাথায় রাখা জরুরি।’

প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যাটাররা ভালো করলে চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি, ‘এটা কিন্তু অনেক ভালো একটা বিষয়, ওখানে স্পিন এতো বেশি পায় না। আমার মনে হয় এটা ব্যাটারদের জন্য খুব ভালো। যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি, আমাদের বোলারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। বোলাররা তো বরাবরই ভালো করে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—সবমিলিয়ে আমাদের কম্বিনেশনটা খুব ভালো অবস্থায় আছে। আশা করি সেরাটা দেওয়া সম্ভব হবে।’

Read Entire Article