টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মির্জা মো.তারেককে নারী কেলেঙ্কারি ও সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। তারেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত৷ তবে বিগত সময়ে তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বিকেলে বহিষ্কারের আদেশ জানা যায়৷
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ মার্চ গণিত বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তারেককে ক্যাম্পাসের একটি ব্যাচেলর মেসে দেখা যায়। পরে প্রতিবাদ জানালে, ২০ মার্চ রাতে তারেক ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন কর্মী নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালান। এতে ওই শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন ও মানসিক চাপে পড়েন। ঘটনার পর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করা হলেও পূর্ববর্তী প্রশাসন দীর্ঘদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের ২৫০তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
জানা গেছে, তারেক ক্যাম্পাস জীবনের শুরুতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে দাপট দেখানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণায়ও সক্রিয় ছিলেন। তবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি হঠাৎ ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
সম্প্রতি ছাত্রদলের ৭৩ ভোটারের কাউন্সিলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কমিটি গঠিত হলে তারেকের ভোটার নম্বর ছিল ৫১। গত ৯ সেপ্টেম্বর বহিষ্কারের আদেশ কার্যকর হওয়ার পরও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্রদলের পাম্প লেট বিতরণ কার্যক্রমে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে যোগ দিয়েও তারেক ক্যাম্পাসে দাপট দেখাতেন ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় শাস্তি পাওয়ায় তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/এমএন/জিকেএস