২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি তুলনামূলকভাবে কমেছে। কিন্তু তাতেও মন গলছে না ভোটারদের। মূলত গত কয়েক বছর ধরে ডিম থেকে শুরু করে জ্বালানির দাম উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। ফলে যেখানেই নির্বাচন ছিল সেখানেই ক্ষমতাসীন দলকে শাস্তি দিয়েছে ভোটাররা। ক্ষমতাসীন দলগুলো মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রেখেছে মূল্যস্ফীতি। ২০২১ সালে হেরে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন ট্রাম্প। ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালিয়েও লাভ হয়নি। তবে এবার ব্যালটবাক্সের মাধ্যমে ট্রাম্পকে জিতিয়েছেন সমর্থকরা।
আরও পড়ুন>
- নিজেদের স্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাবে না ভারত: জয়শঙ্কর
- ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের
মূল্যস্ফীতি বেশ কিছু দেশেই সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। এই তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, বতসোয়ানা, পর্তুগাল ও পানামা। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভোটাররা বিরোধীদলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
নির্বাচন বড় ধাক্কা দিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ভারতকেও।
অন্যদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এখন বড় প্রশ্ন হলো ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউজে ফিরবেন তখন এই সংঘাতের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব পড়বে।
এর আগে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি এক দিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। ফলে ইউক্রেন ও ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন এর মানে হলো পুতিনের পাশে থাকা ও স্থিতাবস্থা স্থগিত করা।
ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিসর বাড়িয়েছে। প্রথমে গাজা। তারপর লেবানন। ইয়েমেন ও সিরিয়ায়ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে তেল আবিব। গাজা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সেখানে ইসরায়েলের হামলায় এখনো মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে কোম্পানিগুলো কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালে যা বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম