বিশ্বের সেরা সাত স্টেডিয়ামের তালিকায় জায়গা পেল সিলেট
সবুজ পাহাড়, চা বাগান আর নির্মল প্রকৃতির মাঝে ঘেরা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে নিয়ে গর্ব করার নতুন কারণ পেল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডভিত্তিক জনপ্রিয় ক্রিকেটমাধ্যম ‘ক্রিকেট ৩৬৫’ বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাতটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তালিকা প্রকাশ করেছে, আর সেখানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের এই নয়নাভিরাম ভেন্যুটি।
সিলেটের স্টেডিয়ামটি সবসময়ই দর্শকদের কাছে আলাদা এক আকর্ষণ। শহরের এয়ারপোর্ট রোডের পাশেই অবস্থিত এই মাঠ যেন প্রকৃতির বুকে গড়া এক স্বপ্নরাজ্য। চারপাশে সবুজ পাহাড়, বাগানের ফাঁকে উঁকি দেওয়া সূর্যের আলো আর নরম কুয়াশার আস্তরণে সকাল কিংবা গোধূলির সময় মাঠটি হয়ে ওঠে এক অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক।
ক্রিকেট ৩৬৫ তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে—
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাহাড় ও চা বাগানের মাঝখানে অবস্থিত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি চোখের জন্য এক আনন্দের স্থান। মাঠের চারপাশের সবুজ দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন কোনো সবুজ স্বর্গের মাঝখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে।
২০০৭ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করে ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সিরিজ, বিপিএলসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এই তালিকায় আরও জায়গা পেয়েছে—দক্ষিণ আফ্রিকার নিউল্যান্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়াম, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল, ভারতের ধর্মশালা এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, পাকিস্তানের গওয়াদর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং ক্রিকেটের ঐতিহ্যের প্রতীক ইংল্যান্ডের লর্ডস।
বাংলাদেশের জন্য এটি শুধু সৌন্দর্যের স্বীকৃতি নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের একটি উজ্জ্বল পরিচয়ের প্রতিফলনও বটে—যেখানে প্রকৃতি ও ক্রিকেটের মিলনে সিলেট হয়ে উঠেছে এক ‘সবুজ গৌরবের মাঠ’।