শাহবাগে বুয়েট ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সেক্রেটারি হাসান মাহদী বলেন, আজ জুলাই আন্দোলনের একবছর পরও আমাদের সেই পুলিশি স্টেট নিয়ে কথা বলতে হয়। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে জুলাই আগস্টে ইন্টেরিম সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তারা ছাত্রদের রক্তের উপর বসে আছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা গত ১৭ বছর পুলিশের যে চরিত্র তৈরি করেছিল তা এখনো ঠিক হয়নি। আমরা শুধু বুয়েটের শিক্ষার্থী না, প্রতিটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক আচরণের প্রতিবাদ জানাই। জাতীয় আন্দোলনের প্রয়োজনে সবার আগে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের কোন দাবি মেনে নেওয়া হয় না।
ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাইন আল মুবাশ্বির বলেন, আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কার হচ্ছে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীরা যে কোনো আন্দোলনে নামলেই তাদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে ৫ আগস্টের পর আমাদের দাবি পূরণের জন্য আর কোন শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরাতে হবে না। আমাদের রক্তের ওপর দাড়ানো ইন্টেরিম সরকার। কিন্তু যেকোনো আন্দোলনে শিক্ষার্থীদে রক্ত না ঝরলে তাদের ঘুম ভাঙে না। আমরা প্রশ্ন রেখে যেতে চাই যে পুলিশ হাসিনার পেটুয়া বাহিনী গত ৫ আগস্টের সময় হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়েছে। অনেক মানুষকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে পুলিশের হামলার কারণে। বুয়েটের মতো দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর এসব হামলার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা যে কারণে জুলাই আন্দোলন করেছিলাম সেই রক্তের উপর বর্তমান সরকার দাড়িয়ে আছে। বর্তমান সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব বিষয় সমাধান করা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি আগের সেই রবোটিক সিস্টেমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো চলছে। শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর দাঁড়ানো অথচ শিক্ষাকে সংস্কার করার জন্য কোন কমিশন গঠিত হয় নি।