বর্ষায় পাহাড় ভ্রমণে অভিজ্ঞতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন। কারণ এ সময় পাহাড় যৌবন ফিরে পায়। একই সঙ্গে বৃষ্টিতে চারদিক ধুয়ে একেবারে সতেজ সবুজ হয়ে থাকে। চোখ জুড়ানো এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে একা কিংবা দল বেঁধে পাহাড়ে ছোটেন ভ্রমণপিপাসুরা।
তবে এ সময় পাহাড়ে গেলে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। বেশ কয়েকটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আপনি যতই অভিজ্ঞ হোন না কেন এ সময় নানান ধরনের বিপদে পড়তে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলোতে সতর্ক হতে হবে।
কীটনাশক ও মশা প্রতিরোধক সঙ্গে নিন
এ সময় পাহাড়ে গেলে অবশ্যই সঙ্গে কীটনাশক এবং মশা প্রতিরোধক ক্রিম নিয়ে যান। বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সাপের উপদ্রব তো আছেই। সঙ্গে কার্বলিক এসিড রাখুন। যে স্থানে ক্যাম্প করছেন বা বিশ্রাম নিচ্ছেন আশপাশে কার্বলিক এসিড দিয়ে রাখুন।
লবণ রাখুন
সঙ্গে লবণ রাখতে ভুলবেন না। কারণ বর্ষায় পাহাড়ে যাচ্ছেন, অথচ জোঁকের কামড় খাবেন না এমন ঘটনা খুবই বিরল। তাই সঙ্গে লবণ রাখুন। জোঁক কামড়ে ধরলে খানিকটা লবণ ঢেলে দিন জোঁকের শরীরে।
আরও পড়ুন
- ছুটির দিনে ঘুরে আসুন কুমিল্লার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে
- বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?
বুট জুতা পরুন
অবশ্যই বুট জুতা বা কাদায় পরা যায় এমন জুতা পরুন। যেন পিছলে না পড়েন। বৃষ্টিতে মাটি ভেজা থাকায় পিচ্ছিল থাকতে পারে। পড়লে বড়সড় আঘাতও পেতে পারেন।
রেইনকোট ও শুকনো কাপড় রাখুন
রেইনকোট, ছাতা ও শুকনো কাপড় রাখুন। ভেজা কাপড়ে বেশিক্ষণ থাকবেন না। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সঙ্গে এমন কাপড় নিন যেগুলো খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। চাইলে পাতলা গরম কাপড় রাখতে পারেন। যেহেতু বৃষ্টির সময় তাই আবহাওয়া ঠান্ডা থাকাই স্বাভাবিক।
ওষুধ রাখুন
প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রাখুন। ঠান্ডা বা জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল রাখতে পারেন। সঙ্গে অ্যাসিডির ওষুধ নিয়ে নিন। স্যালাইন এবং শুকনো কিছু খাবার রাখুন ব্যাগে।
ফোনের চার্জ ফুল রাখুন
ফোনের চার্জ ফুল রাখার চেষ্টা করুন। সব সময় ওয়েদার আপডেট জানুন। সঙ্গে টর্চ লাইট, পাওয়ার ব্যাংক রাখুন। জরুরি সময়ে কাছাকাছি কাউকে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন সেজন্য নিকটস্থ পুশিল, স্থানীয় কারোর ফোন নম্বর সেভ রাখুন।
ট্যুর গাইড সঙ্গে নিন
বেশি ঝুঁকি নিতে যাবেন না। ট্যুর গাইডের নির্দেশনা মেনে চলুন। যেখানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যাওয়া নিষেধ থাকবে সেখানে যাবেন না। তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মেনে চলাই ভালো।
জেএমএস/এএসএম