মিরসরাইয়ের চাঁদপুর-গোভনীয়া সড়কের ওপর অবস্থিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে বন্ধ হয়ে গেছে সড়কের যান চলাচল। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পূর্ব গোভনীয়া গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজটির গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় শনিবার (২১ জুন) বিকেলে ভেঙে যায়।
এতে পার্শ্ববর্তী আমবাড়ীয়া, গোভনীয়া, ফটিকছড়ি উপজেলার প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগের শিকার হন।
মিরসরাই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোভনীয়া ছড়ার ওপরে ২০ বছর আগে পুরাতন ব্রিজের ভিতের ওপর বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। চাঁদপুর-গোভনীয়া সড়কটি মিরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার সঙ্গে সংযোগস্থাপনকারী আঞ্চলিক সড়ক।
সড়কটি দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত শাক-সবজি ছাড়াও কাঠ, বাঁশ, বালু বোঝাই ভারী যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। যোগাযোগের দ্রুততার জন্য ফটিকছড়ি উপজেলার অনেক পণ্য ও মানুষ চলাচল করে এই সড়কে।
৬ জুন ভারী বৃষ্টি হলে পুরাতন ব্রিজটির বেইজ ধসে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানালে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। তবে গত কয়েক দিন আবারও ভারী বর্ষণের পর শনিবার বিকেলে ব্রিজটির একাংশ কাত হয়ে গিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে বাদামতলী আমবাড়িয়া সড়ক হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় খোরশেদ আলম ও তাকিব হোসেন জানান, কিছুদিন ধরে ব্রিজটি দিয়ে এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিল। শনিবার সকাল থেকে এর একাংশের মাটি সরে গেলে দেবে যায়। এতে মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের আঞ্চলিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, বেইলি ব্রিজের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটি সংস্কারের জন্য প্রস্তুতি ছিল। তবে ভারী বৃষ্টি ও স্রোতের কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। আবহাওয়ার উন্নতি হলে সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবো।
মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মিরসরাই পৌরসভার প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সওজকে লিখিতভাবে চিঠি দেবো।
এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/জেআইএম