বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে অন্য কোনো বন্দরের তুলনা করা যাবে না
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (এনডিসি) ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী বলেছেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই স্থলবন্দর থেকে দেশে সিংহভাগ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। স্থলবন্দরের কাজ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা, তাদের পণ্য আটক নয়। এই বন্দরের সঙ্গে অন্য কোনো বন্দরের তুলনা করা যাবে না। তিনি বলেন, এই বন্দরকে অন্য বন্দরের চেয়ে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। এই পথে ভারত থেকে দেশের সিংহভাগ পণ্য আমদানি হয়। সেই সঙ্গে রপ্তানিও বেশি হয়ে থাকে। বন্দর ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। শনিবার (২২ নভেম্বর) বেনাপোল স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, বন্দরে চুরি, ছিনতাই সবকিছু রোধ করার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও সিকিউরিটি বাহিনী। ব্যাবসায়ীদের আমদানি পণ্যের সুরক্ষার জন্য রয়েছে ফায়ার সার্ভিস টিম। এই টিমের কাছে যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে তা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে। তিনি বন্দর কার্যক্রমে গতি ফিরিয়ে আনা ও রাজস্ব আদায় আরও বৃদ্ধি করতে প্রশাসনকে প্রয়োজ
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (এনডিসি) ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী বলেছেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই স্থলবন্দর থেকে দেশে সিংহভাগ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। স্থলবন্দরের কাজ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা, তাদের পণ্য আটক নয়। এই বন্দরের সঙ্গে অন্য কোনো বন্দরের তুলনা করা যাবে না।
তিনি বলেন, এই বন্দরকে অন্য বন্দরের চেয়ে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। এই পথে ভারত থেকে দেশের সিংহভাগ পণ্য আমদানি হয়। সেই সঙ্গে রপ্তানিও বেশি হয়ে থাকে। বন্দর ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বেনাপোল স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, বন্দরে চুরি, ছিনতাই সবকিছু রোধ করার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও সিকিউরিটি বাহিনী। ব্যাবসায়ীদের আমদানি পণ্যের সুরক্ষার জন্য রয়েছে ফায়ার সার্ভিস টিম। এই টিমের কাছে যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে তা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে। তিনি বন্দর কার্যক্রমে গতি ফিরিয়ে আনা ও রাজস্ব আদায় আরও বৃদ্ধি করতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মাদ মানজুরুল মান্নানের সভাপতিত্বে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ফিরোজ আহমেদ, যুগ্মসচিব মো. রুহুল আমীন, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন, নাভারণ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনি খাতুন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার তৌফিকুর রহমান, বেনাপোল পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম সাখাওয়াত হোসেন, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আল মামুন শাহ, ৪৯ বিজিবি’র বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কোম্পানি কমান্ডার মো. মিজানুর রহমান, বন্দরের আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডার মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহের উল্লাহ, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম আতিকুজ্জামান সনি, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদ আলী, ৮৯১ এর সাধারণ সম্পাদক লিটন হোসেন প্রমুখ।
সভায় অংশীজনদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দ্রুত পণ্য খালাসে হয়রানিসমূহ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ, রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর ব্যবস্থা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়ে মতামত প্রদান, পণ্য রক্ষণাবেক্ষণে ৫২ একর জমি অধিগ্রহণে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, দ্রুত চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্দেশিকা প্রদান করেন ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী।
মো. জামাল হোসেন/ইএ
What's Your Reaction?