ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ৬ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার বেপারী পরিবহনের মালিক ডাবলু বেপারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাসচালক মো. নুরুদ্দিন (৩০) দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুজনকে গ্রেফতার করে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ডাবলু বেপারীকে কারাগারে আটক রাখার ও ঘটনার দায় স্বীকার করতে সম্মত হওয়ায় চালক মো. নুরুদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান।
আরও পড়ুন
শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলাম ডাবলু বেপারীকে কারাগারে ও নুরুলদীনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে নুরুদ্দিন দাবি করেন, গাড়ির ব্রেক ফেল হয়ে যাই। আমার কিছু করার ছিল না। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী নরুল আমিনের বোনের পরিবার প্রাইভেটকারে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় টোল দেয়ার জন্য বেলা সোয়া ১১টার দিকে অপেক্ষায় ছিল। তাদের বহনকৃত গাড়ির সামনে মোটরসাইকেলে এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী ও সন্তানসহ টোল প্রদান করছিল। বেপারী পরিবহন সামনে থাকায় ও মোটর সাইকেলটি টোল দেওয়ার সময় প্রাইভেটকারকে পেছন দিক হতে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বেপারী পরিবহন ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেটি দুমড়ো-মুচড়ে যায়।
এতে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তাঁর বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)। এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলম (৪২), তাঁর বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।
আরও পড়ুন
এ ঘটনায় নিহত আমেনা আক্তারের ভাই মোঃ নরুল আমিন (৫২) বাদী হয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এমএএস/এমকেআর