তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আত্মহুতি মূল্যায়ন করতে হলে বৈষম্যের বীজ সমূলে উৎখাত করতে হবে। এটার জন্য আমূল সংস্কার হওয়ার দরকার। আমাদের দেশের রাজনীতি চলে গেছে পুঁজিবাদীদের হাতে। এ অবস্থা চলমান থাকলে নতুন বোতলে পুরাতন মদ ফিরে আসবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকার একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিন মাসদাইর এলাকার বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বৃক্ষরোপণ আয়োজন করা হয়।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, জাতির প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার কতগুলো কাজে হাত দিয়েছেন। বিশেষ করে নির্বাচন পদ্ধতিকে স্বচ্ছ অবস্থায় আনার জন্য সবার সহযোগিতা করার দরকার। নির্বাচন পদ্ধতি যদি স্বচ্ছ না হয় মানুষ যদি ভোট দিতে না যায় প্রশাসন দিয়েই ভোটবাক্স ভরতে হয় কেন্দ্র দখলের পুনরাবৃত্তি হলে তাহলে হাজার হাজার ছাত্র জনতার আত্মহুতি বৃথা যাবে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে ছায়া সরকার মনে করতে হবে। বিরোধী অধিকার অধিকার বঞ্চিত হবে তা হতে পারে না। সবকিছু সরকারী দলের হবে এটা হতে পারে না। রাষ্ট্র হতে হবে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। যার পদ্ধতিই থাকবে একের অপরের কল্যাণ কামনা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। আর এসব করছে রাষ্ট্রীয় কর্মচারী। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহৃত হয়েছে জনগণের বিরুদ্ধে। এ পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে।
জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব দিয়ে তৈমূর বলেন, সবার প্রতি অনুরোধ সরকারকে মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। সার্বিক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। কোনো কারণে ঐক্য ভেঙে গেলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হবে।
বিএনপিতে ফেরা প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, আমার রক্ত মাংস আমার পরিবার আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী বিএনপি করে। আমি আলী আহম্মদ চুনকা ভাইয়ের সঙ্গে চলছি। তিনি আওয়ামী লীগের বড় নেতা ছিলেন। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দেইনি। তখন আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। বিএনপিতে যখন যোগ দেই তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলে না।
তিনি বলেন, আমার পুরো পরিবার বিএনপি। আমি আমার পরিবারের কাউকে বিএনপি ছাড়তে বলিনি। আমাকে যে যখন যখন প্রয়োজন মনে করে আমি তার পাশে থাকবো। আমি নীতিগতভাবে বিএনপির জাতীয়বাদী আদর্শ বিশ্বাস করি।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/আরএইচ/এএসএম