বোতলজাত পানির দাম কেন বাড়লো, খবর নিয়ে ব্যবস্থা

4 months ago 25

দেশে বোতলজাত পানির দাম কেন বেড়েছে সে বিষয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একইসঙ্গে বাজারে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

বোতলজাত পানির দাম বাড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি প্রথম শুনলাম এটা। খবর নেবো এটা, কেন বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কী করণীয় অবশ্যই আমরা এটার ব্যবস্থা নেবো।

সাবান ও গুড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাবান নিয়ে এর আগে কেউ প্রশ্ন করে নাই। এটা নিয়ে কোনো কিছু করণীয় আছে কি না সেটা দেখবো। আপনার বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। অনেক বিষয় আছে সেটা আমাদের কি না সেটা দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের। তাই সাবানের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে কি না সেটা দেখে আপনাদের জানাবো।

বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি এটা আপনি স্বাভাবিক মনে করেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে আলু, পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দাম যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখবো, সেটা বারবার বলার চেষ্টা করতেছি।

তিনি বলেন, যেকোনো প্রাইজ নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষন পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যে মূল্য আছে সে মূল্যটাকে আমাকে মূল্য হিসেবে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারবো না। পেঁয়াজের দাম এতো। অত্যন্ত আমি পারবো না। সেটা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্যনির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম আমার জানা নাই। আমার জানা আছে যদি দাম বেড়ে যায়, তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।

এমএএস/জেএইচ/এএসএম

Read Entire Article