ব্যবসায়ীদের ওপর আরও বেশি করের বোঝা চাপানো হচ্ছে

3 months ago 48

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়মিত কর প্রদানকারী ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের ওপর আরও বেশি করের বোঝা চাপানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

শুক্রবার (৭ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমসিসিআই এ কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজেট বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে বাজেট ব্যবস্থাপনার গতিশীলতা, করনীতি সংস্কার, করব্যবস্থার অটোমেশন, কর সংগ্রহে সামগ্রিক সিস্টেম লস কমানো এবং কর প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি তথা জনগণকে যথাযথ সেবা প্রদানের আরও সুযোগ রয়েছে বলে চেম্বার মনে করে।

এমসিসিআই সবসময় কর প্রশাসনে অর্থবহ কাঠামোগত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে আসছে, যেন কর প্রশাসন যথাযথভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। নিয়মিত কর প্রদানকারী ব্যক্তি/ব্যবসায়ীদের ওপর আরও বেশি করের বোঝা চাপানো হচ্ছে, বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধান করার জন্য এমসিসিআই জোর দাবি জানিয়েছে।

৫৩তম জাতীয় বাজেট উত্থাপন করায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে এমসিসিআইজানায়, এই বাজেট অর্থমন্ত্রী পেশকৃত প্রথম বাজেট। এমসিসিআই মনে করে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে রপ্তানি বাজার সংকুচিত হওয়া; মন্থর বিনিয়োগ ব্যবস্থা, ব্যাংক ঋণের জন্য উচ্চ সুদহার, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ; স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়ন এবং ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতকরণের সময় বাজেট প্রস্তুত করা অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল।

আরও পড়ুন

এমসিসিআই জানায়, প্রস্তাবিত বাজেট সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকা) চেয়ে শতকরা ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি, সংশোধিত বাজেটের (৭১৪,৪১৮ কোটি টাকা) ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সরকার আসন্ন অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) দুই লাখ ৬৫হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। চলতি প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্পখাতকে সচল রেখে এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার সীমিত রেখে বাজেটে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বর্তমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নির্ধারিত চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভ্যাট কর্তৃপক্ষকে একা কোটি ৮২ লাখ ৭৮৩ কোটি, আয়কর কর্তৃপক্ষকে এক কোটি ৭৫ লাখ ৬২০ কোটি এবং শুল্ক কর্তৃপক্ষকে এক কোটি ২১ লাখ ৫৯৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে।

এমসিসিআই জানায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা (জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ)। মোট ঘাটতির মধ্যে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বাইরের উৎস থেকে এবং এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংস্থান করা হবে। এই এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক খাত থেকে এবং ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র এবং অন্যান্য নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সুপারিশকৃত করব্যবস্থার চলমান সংস্কারের শর্তাবলীর কারণে চূড়ান্ত বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি পেতে পারে। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী কর-জিডিপির অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করতে গিয়ে করদাতাদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সুতরাং, এমসিসিআই সরকারি প্রকল্পের অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যয় সীমিত করার জন্য যথাযথ আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছে এমসিসিআই।

বাজেটে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট (১৫৫,৯৩৫ কোটি টাকা) থেকে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার দুই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে; প্রথমত, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি অর্থনীতিতে একটি ক্রাউডিং আউট (নেতিবাচক) প্রভাব তৈরি করতে পারে, যার ফলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ে, যে চাপ শেষ পর্যন্ত বহন করতে হয় ভোক্তা বা জনগণকে। তাই এমসিসিআই এই দুই বিষয়ের মধ্যে যথাযথ সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ভবিষ্যত ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিকে শ্লথ করে দিতে পারে বলে এমসিসিআই শঙ্কা প্রকাশ করছে।

আরও পড়ুন

চেম্বার মনে করে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে গরিবমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর অধিকতর নজর দেওয়া উচিত। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা উচিত। প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দ এক লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক লাখ ছয় হাজার ২৭২ কোটি টাকা ছিল। এই খাতে মাত্র নয় হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমসিসিআই এই খাতের বরাদ্দ যৌক্তিকভাবে বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে।

এমসিসিআই বিশ্বাস করে, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো, জ্বালানির অসম বণ্টনব্যবস্থা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এখনো প্রধান অন্তরায় হিসেবেই চিহ্নিত। এছাড়াও দুর্বল রাজস্ব আদায় ব্যবস্থা (বর্তমান অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মধ্যে ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ সংগৃহীত) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন (বর্তমান অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বাস্তবায়িত) অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ আমদানি প্রবণতা ও বর্তমান বৈশ্বিক বিপর্যয় অবস্থা বিবেচনা করে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দামে উচ্চ ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্যথায় ভর্তুকি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে আরও বৃদ্ধি পাবে।

তালিকাবহির্ভূত কোম্পানি এবং একক ব্যক্তি কোম্পানিসমূহের করপোরেট কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনার এমসিসিআই প্রশংসা করছে। তবে এমসিসিআই এই হার অন্যান্য কোম্পানিসমূহের জন্যও কমানোর সুপারিশ করছে। ফলে সব কোম্পানি কর প্রদানে অনুপ্রাণিত হবে বলে এমসিসিআই বিশ্বাস করে। করপোরেট করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা না থাকায় এমসিসিআই হতাশা ব্যক্ত করছে।

বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতিবিবেচনায় শর্তাবলী সামঞ্জ্যপূর্ণ নয়। অপরদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এমন নির্মাণ, অবকাঠামো, ইত্যাদি পরিসেবাতে উৎসে কর কর্তনের (টিডিএস) হার কমানোর চেম্বার পরামর্শ দিচ্ছে। তদুপরি, বাংলাদেশে কার্যকর করহার অত্যন্ত বেশি। এক্ষেত্রে অনুমোদিত ব্যবসায়িক খরচ এবং উৎসে কর কর্তনের (টিডিএস) হারকে যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে কার্যকরী করহার কমানোর জন্য চেম্বার একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ আশা করে।

বর্তমানে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি না করে বরং করহার ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করাকে এমসিসিআই পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছে। চেম্বার মনে করে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি তথা করনেট বৃদ্ধি না করে; শুধু বর্তমান করদাতাদের করহার বৃদ্ধি করলে আশানুরূপ কর জিডিপি অনুপাত অর্জন করা সম্ভব নয়।

এমসিসিআই সবসময় বলে আসছে, প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর (মিনিমাম ট্যাক্স) করনীতির পরিপন্থি। তাই এটি বাদ দেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায় যদি লাভ হয় তবে কর শুধু করযোগ্য আয়ের ওপর প্রযোজ্য হবে এবং রাজস্ব বা অন্য কোনো তহবিলের ওপর প্রযোজ্য হবে না।

বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধিসহ করনেট সম্প্রসারণ সরকারের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকার আকারের মধ্যে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা মাত্র চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। করব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এবং জনবান্ধব করনীতি তথা করব্যবস্থার সরলীকরণের ওপর উচ্চমাত্রায় রাজস্ব আহরণ নির্ভর করে বলে এমসিসিআই মনে করে।

বাজেটে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ ও মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর আলোকে আপিল কমিশনারেট ও আপিলাত ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে দাবিকৃত করের ২০ শতাংশ জমাদানের পরিবর্তে ১০ শতাংশের বিধান প্রস্তাব করায় এমসিসিআই প্রশংসা করছে।

আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রীর সম্পূরক শুল্কের হার বৃদ্ধি জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে চেম্বার আশঙ্কা করছে। উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মে মাসের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ফলে টানা ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমসিসিআই মনে করে মূল্যস্ফীতির এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়।

আরও পড়ুন

বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য কর অব্যাহতির সময়সীমা ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করায় প্রশংসা করেছে এমসিসিআই।

এমসিসিআই আরও জানায়, কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একাধিক মোটরযান ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবেশ সারচার্জ প্রযোজ্য। এছাড়াও এই পরিবেশ সারচার্জ প্রচলিত বাস ও ট্রাক অর্থাৎ পরিবেশ দূষণকারী যানবাহনের ওপর প্রযোজ্য নয়। এক্ষেত্রে চেম্বারের পরামর্শ, কোম্পানিসমূহের যানবাহনের ক্ষেত্রে এই সারচার্জ প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। একই সঙ্গে ইলেকট্রিক যানবাহনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারিসমূহের অপসারণ ব্যবস্থাপনার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা আবশ্যক।

মাত্র ১৫ শতাংশ কর প্রদান সাপেক্ষে ঢালাওভাবে অপ্রদর্শিত অর্থকে (কালো টাকা) সাদা করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে এমসিসিআই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই ব্যবস্থার ফলে নিয়মিত করপ্রদানকারী করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন। নিয়মিত কর প্রদানকারীদের জন্য এটি একটি শাস্তি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রকৃত অনুশীলনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ হারে কর আরোপসহ জরিমানার বিধান প্রবর্তন করে এই ব্যবস্থা প্রচলন করলে নিয়মিত করদাতারা উৎসাহিত হবে বলে এমসিসিআই বিশ্বাস করে।

স্মার্ট বাংলাদেশের নিরিখে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’, ‘ডিজিটাল ব্যাংক ও ক্রেডিট স্কোরিং সিস্টেম’ এবং ‘ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিষয়গুলো সম্পর্কে জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনায় আলোচনা করা হয়েছে। যা অটোমেশন প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে এমসিসিআই মনে করে।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এমসিসিআই জানায়, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও পর্যায়ক্রমিক পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন সাপেক্ষে বাজেটের বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। বর্তমান বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে বাজেট বাস্তবায়নের মূল্যায়ন আবশ্যক। এমসিসিআই মনে করে, প্রতি তিন মাস অন্তর বাজেটের একটি অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন হওয়া দরকার, প্রয়োজনে এটি পুনর্গঠন ও সেই অনুযায়ী সংশোধন করা যেতে পারে। সমাজ ও অর্থনীতিতে যেসব সমস্যার প্রভাব রয়েছে, সেসব উদ্ভুত সমস্যা মোকাবিলা করার প্রয়োজন হতে পারে।

ইএ/এএসএম

Read Entire Article