ব্যর্থ হতে পারে ইসরায়েল-গাজা চুক্তি

3 hours ago 4
গাজায় ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের নেতৃত্বের মধ্যে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এ চুক্তি টিকিয়ে রাখা কঠিন হতে পারে। বিশেষ করে, তারা কেউই দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী নয়। ফলে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ হতে পারে।  নেতানিয়াহুর অনিচ্ছা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলতে ইচ্ছুক নন। তিনি আবার যুদ্ধ শুরুর পরিকল্পনা করতে পারেন। নেতানিয়াহু আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি সাময়িক। তাই পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে তিনি এটি ভেঙে দিতে পারেন। হামাসের বিরোধিতা হামাসও যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করতে আগ্রহী নয়। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বন্দি বিনিময়ের সময় অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় হামাস তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। তারা গাজায় নিজেদের শক্তি বজায় রাখতে চায় এবং যুদ্ধ পুনরায় শুরুর জন্যও প্রস্তুত। হামাসের নেতারা নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিতে পারেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় বিলম্ব চুক্তির পরবর্তী পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনিময়ের আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু এই আলোচনা বিলম্বিত হলে চুক্তির বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে, যা যুদ্ধবিরতির ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। কারণ, নেতানিয়াহু আগেও এই ধরনের আলোচনাকে বিলম্বিত করেছেন।  পশ্চিম তীরে সহিংসতা পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি কট্টরপন্থি বসতির লোকজন সহিংসতা বাড়াতে পারে। নেতানিয়াহু এই ধরনের সহিংসতা উসকে দিতে পারেন, যা গাজার শান্তি চুক্তির ওপর প্রভাব ফেলবে। এই ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিতে পারে। ট্রাম্পের অনীহা আগের মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টরা দুপক্ষকে শান্তি চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করতে সক্রিয় ভূমিকা নিতেন। তবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরকম ভূমিকা পালন করবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ট্রাম্প সক্রিয় না হলে নেতানিয়াহু ও হামাস ফের যুদ্ধের পথে হাঁটতে পারে।  গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখনও অনিশ্চিত। সর্বোপরি, নেতানিয়াহু ও হামাসের মধ্যে অবিশ্বাস এবং দুর্বল অবস্থান এ চুক্তির স্থায়িত্বে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি উভয়পক্ষ শান্তির পথে হাঁটে, তবেই কিছু সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি টিকে থাকতে পারে। তথ্য: দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা। 
Read Entire Article