যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ফিলিস্তিনি রেস্তোরাঁগুলোতে শোভা পাচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকার আদলে চেরি-লাল রঙে রাঙানো সোডার ক্যান। এর মধ্যে পতাকার কালো, লাল ও সবুজ রঙের মিশেলে ঐতিহ্যবাহী কেফিয়েহ প্যাটার্নের নকশা করা আছে। আর ক্যানগুলোর গায়ে আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লেখা আছে ‘গাজা কোলা’।
ভিন্ন দেশের বাজারে কোকাকোলা বা পেপসির মতো জনপ্রিয় পানীয়ের বিকল্প হয়ে উঠছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন কোমল পানীয়। তারই একটি গাজা কোলা। অবরুদ্ধ উপত্যকার গাজার নামে বাজারে আনা গাজা কোলা এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফিলিস্তিনপন্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা এখন কোকাকেলা বা পেপসির বদলে তাদের খাদ্য তালিকায় রাখছেন এই কোমল পানীয়কে। বর্তমানে লন্ডনের তিনটি রেস্তোরাঁ, কিছু মুসলিম খুচরা বিক্রেতার দোকান এবং অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এই গাজা কোলা । এর লাভ থেকে গাজা সিটির আল-করামা হাসপাতালে মাতৃসদনের পুনর্নির্মাণে সহায়তা করা হচ্ছে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলে ব্যবসা পরিচালনা করা বিভিন্ন কোমলপানীয় ও খাদ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ফুড চেইনের ব্যবসায় মারাত্মক ধস নেমেছে। মূলত ইসরায়েলি সরকারকে সহযোগিতা বা গাজা গণহত্যায় সমর্থনের অভিযোগে এসব কোম্পানি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে গণহত্যাবিরোধী মানুষ। এরই মধ্যে কোকাকোলা ও পেপসি বিভিন্ন দেশে বয়কটের মুখে পড়েছে। যা তাদের ব্যবসায় মারাত্মক লোকসানের দিকে নিয়ে গেছে।