ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে উদযাপিত ‘বিজয় উৎসব ২০২৫’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় ‘বিজয় উৎসব ২০২৫।’ বিজয়ের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, গান, নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ছায়ানট ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে একটি গীতিনাট্যের মাধ্যমে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। দীর্ঘ ২৩ বছরের বঞ্চনা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালির সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের ইতিহাস গান, নৃত্য ও কথামালার মাধ্যমে জীবন্ত করে তোলেন ছায়ানট ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের কার্যকরী সংসদের সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় ‘বিজয় উৎসব ২০২৫।’ বিজয়ের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, গান, নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ছায়ানট ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে একটি গীতিনাট্যের মাধ্যমে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। দীর্ঘ ২৩ বছরের বঞ্চনা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালির সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের ইতিহাস গান, নৃত্য ও কথামালার মাধ্যমে জীবন্ত করে তোলেন ছায়ানট ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের কার্যকরী সংসদের সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আরশাদ মাহমুদ চৌধুরী, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেসের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ, অফিস অফ কমিউনিকেশন্সের ডিরেক্টর খায়রুল বাশারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ছায়ানটের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আরশাদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইতিহাসকে তরুণদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন তা কেবল পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জীবন্ত অভিজ্ঞতায় রূপ নেয়। তিনি বলেন, সংগ্রাম ও বিজয়ের প্রকৃত তাৎপর্য অনুধাবনের জন্য সাংস্কৃতিক চর্চা ও শিক্ষার সমন্বয় অপরিহার্য। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ইতিহাস সচেতন ও দায়িত্বশীল মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
ছায়ানটের সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, সংখ্যার বিতর্কে গিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মত্যাগ খাটো না করা হয় এবং কোনোভাবেই যেন গণহত্যাকারীদের অপরাধ লঘু না হয়। তিনি ইতিহাস বিকৃতি থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন মুক্তিসংগ্রামে বাংলা গানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে সমাজের অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা ও স্কুল অফ ফার্মেসির প্রফেসর শরমিন্দ নীলোৎপল। অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করে।