মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য থেকে পদত্যাগ করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ৭ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ ঝেড়ে আতাউর রহমান আতা বলেন, যিনি ছিলেন সভাপতি তিনিই এখন আহ্বায়ক। আমাকে ৩ নম্বর সদস্য সচিব করা হয়েছে যা আমার জন্য হেয় করা। আমার ওপরে যে দুজন সদস্য হয়েছেন তারা আমার চেয়ে বয়সে ছোট। মানসম্মান নষ্ট করে আর রাজনীতি করতে পারবো না, এজন্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে শুধু আমার নাম রাখা হয়েছে, এছাড়া সভাপতির লোকজন দিয়েই কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। দলের সবার চাইতে এখন আমি বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা, যদি হই মান ইজ্জত নিয়েই হবো। এছাড়া এমন নেতা হওয়ার দরকার নেই। দল করতে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়েছি। জেল-জুলুম খেটেছি। এখন অসম্মানিত হলে আমার কর্মীদের কাছে কি জবাব দেবো?
আতা অভিযোগ করে বলেন, নবগঠিত কমিটির সদস্য গোলাম আবেদীন কায়সার দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের বাইরে ছিলেন। ১৫ বছর পর তাকে দেশে এনে আহ্বায়ক কমিটির মেম্বার বানিয়ে দিলো। অপর সদস্য সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন তার বাড়ি শিবালয় উপজেলায়। তার নেই নিজস্ব কোনো কর্মী সমর্থক।
তিনি আরও বলেন, খন্দকার দেলোয়ার হোসেন তৎকালীন সময় যিনি দলকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তার ছেলে বাবলুকে কমিটিতে রাখা হলো না। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত তাকেও কমিটিতে রাখা হলো না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খন্দকার আকবর হোসেন বাবল, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জামিলুর রশিদ খান প্রমুখ।
মো. সজল আলী/জেডএইচ/এমএস