‘বড় বিনিয়োগ না আসলে ই-কমার্স লাভজনক হবে না’

4 hours ago 4

ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো দেশে ই-কমার্স খাতের ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশে ধীর গতিতে এগুচ্ছে খাতটি। অবকাঠামোর উন্নয়ন, লজিস্টিক সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্রেতাকে সচেতন করতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ ইনভেস্ট সামিট এর প্রথম দিন সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের ভবিষ্যৎ শীর্ষক সেমিনারে এমন অভিমত তুলে ধরেন উদ্যোক্তারা।

চালডাল ডটকমের সিইও ওয়াসিম আকরাম, পিকাবু ডটকমের সিইও মরিন তালুকদার, লুপ ফ্রাইটের সিইও রাজিব দাস এতে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করে প্রিয়শপ ডট কমের সিইও আশিকুল আলম খান।

চালডাল ডটকমের সিইও ওয়াসিম আকরাম বলেন, গত ১০-১২ বছরে ভারতে ই-কমার্স খাতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু বিনিয়োগ ৬৫ ডলার। এই বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য খরচ হয়েছে ক্রেতাকে শিক্ষিত বা সচেতন করতে, ক্রেতাকে ই-কমার্সমুখী করতে। কেবল মাত্র অবকাঠামো তৈরিতে নয়। সেখানে কাস্টমারকে ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে, ফোন সস্তায় দেওয়া হয়েছে। প্রচুর বিজ্ঞাপন, প্রমোশন হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাত্র ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে ই-কমার্স খাতে। মাথাপিছু বিনিয়োগ হয়েছে ২ ডলারের কম।

তিনি আরও বলেন, ক্রেতাকে শিক্ষিত করতে আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। এখন ই-কমার্সের মার্কেট সাইজ ১.৫ বিলিয়ন ডলার।

জনগণকে ই-কমার্সমুখী করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরি জানিয়ে লুপ ফ্রাইটের সিইও রাজিব দাস বলেন, লজিস্টিকস সুবিধা প্রদানে আমরা বিশ্বের ৮৮তম। সুদান, পাপুয়া নিউগিনির চেয়েও পেছনে। আবার আমাদের দেশে ট্রাক ভাড়াও অনেক বেশি। আমেরিকা ও ভারত থেকেও বেশি।

তিনি বলেন, ট্রাকে পণ্য পরিবহনে কোনো জবাবদিহিতা নেই। প্রতি বছর ট্রাকে পণ্য পরিবহনে ৩০ লাখ টাকার পণ্য চুরি হয়। আমাদের এসব সমস্যা দূর করতে হবে। তা না হলে ই-কমার্স সংস্কৃতি গড়ে উঠবে না।

এসএম/এমআইএইচএস/জিকেএস

Read Entire Article