ফরিদপুরে বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে গণপিটুনিতে মো. মিরান খাঁ (৩৫) নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গদাধর ডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান।
নিহত মিরান খাঁ উত্তর সাদীপুর এলাকার জালাল খানের ছেলে। তিনি গুচ্ছগ্রামে বসবাস করতেন। এছাড়া আলিয়াবাদ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছগ্রামটিতে মিরান খাঁ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালান। তারা বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুর ও কুপিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয়।
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে তার মরদে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি রাইফেল, একটি পিস্তল ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের ভাই ইরান খাঁ অভিযোগ করে বলেন, মিরান মাছ ও বালুর ব্যবসা করতেন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে প্রতিপক্ষের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে। পরে গুচ্ছগ্রামেরই আরেকটি ঘরে নিয়ে যায়। সেই ঘরের মধ্যে কিছু মালপত্র ভাঙচুর করে ডাকাতির নাটক সাজায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মিরান খাঁ নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মিরান এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জিকেএস